নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১২ জুন৷৷ বর্তমানে করুণার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সমগ্র দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন৷ সরকারিভাবে স্বাস্থ্য দপ্তর নানা বিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করছে৷ জনগণকে মাস্ক ব্যবহার করতে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সহ সংক্রমণ ঠেকাতে নানা বিধ ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ কিন্তু তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কিছু চিত্র বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে খুবই অস্বস্তিকর৷ যা করোনা সংক্রমন ঠেকানোর চেয়ে বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়ে রয়েছে হাসপাতালে পেছনের দিকটা৷ শনিবার হাসপাতালে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল এমনি চিত্র৷ জঙ্গলাকীর্ণ সহ হাসপাতালে ব্যবহৃত পিপিই কিট সহ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে৷
অথচ এগুলি পরিষ্কারের জন্য সরকারি অর্থ ব্যায় করে লোক রাখা হলেও সে আছে বহাল তবিয়তেই৷ খবর নেই মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে৷ এইগুলি পরিস্কারের দায়িত্ব রয়েছে গৌতম মাদ্রাজি৷ হাসপাতাল পরিষ্কার কিংবা হাসপাতালের আশপাশ এলাকা পরিষ্কার করার জন্য গত বাম আমলে আর.কে.এস কমিটি তাকে নিয়োগ করে৷ প্রতি মাসে ছয় হাজার টাকা আর.কে.এস তহবিল থেকে খরচ করা হলেও হাসপাতাল চোউদ্দি আছে আবর্জনা স্তুপে ভরা৷ গৌতম মাদ্রাজি নিজের কাজ ফেলে পায়ের উপর পা রেখে বসে থেকে অন্যদের কাজের নির্দেশ দেন৷
এমন ভাব যেন তিনিই হাসপাতালের ইনচার্জ৷ দেখুন সেই চিত্রই আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে৷ কখনো এক্সরে রুম কখনো কোভিড রুম পরিদর্শনে ঘুরে বেরিয়ে মাস শেষে টাকা কামান৷ এই বিষয়ে গৌতম মাদ্রাজি কে প্রশ্ণ করা হলে দেখুন কিভাবে পালিয়ে যান৷ হাসপাতালের ইনচার্জ চিকিৎসক অজিত দেববর্মা কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, যে ব্যবহৃত পিপিই কিট থেকে যে সংক্রমন ছড়াতে পারে তা তিনি অকপটে স্বীকার করেন৷ তবে এই ব্যাপারে সমস্ত দায়ভার মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন র্দের্মার উপর ঠেলে দিয়েছেন৷ তবে দায়িত্ব নিয়ে একে অপরের উপর দোষারোপ করলেও মূলত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে যে কোভিড সংকর্মন বাড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

