নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুন৷৷ করোনা মোকাবিলায় ত্রিপুরায় এখন থেকে শুধু পুর নিগম এলাকা সহ তিনটি পুর পরিষদ এবং দুটি নগর পঞ্চায়েত এলাকায় দিবারাত্র কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ তবে ওই এলাকায় কারফিউয়ের বিধিনিষেধ অনেকটা শিথিল করা হয়েছে৷ ১১ জুন থেকে ১৯ জুন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে৷ অন্যত্র প্রত্যাহার করা হচ্ছে করোনা কারফিউ৷ তবে, জেলাশাসকরা প্রয়োজন বোধে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কারফিউ জারি করতে পারবেন৷ পাশাপাশি, আন্তঃজেলা যাতায়াতেও বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করেছে ত্রিপুরা সরকার৷ তবে করোনা কারফিউ এলাকায় যাতায়াতে ১৮ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে৷
এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, করোনা মোকাবিলায় সারা ত্রিপুরায় করোনা কারফিউ জারি করা হয়েছিল৷ আগামীকাল ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ রয়েছে৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণের হার বিভিন্ন স্থানে নিম্নমুখী৷ তাই আগামীকাল থেকে শুধু আগরতলা পুর নিগম, ধর্মনগর পুর পরিষদ, কুমারঘাট পুর পরিষদ, বিলোনিয়া পুর পরিষদ, রানিরবাজার নগর পঞ্চায়েত এবং সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েত এলাকায় দিবারাত্র করোনা কারফিউয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ তিনি বলেন, সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের অধিক হওয়ায় ওই সব এলাকাগুলিতে কারফিউয়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে৷
তাঁর কথায়, আগামীকাল ১১ জুন ভোর পাঁচটা থেকে ১৯ জুন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে৷ এক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা রয়েছে আদেশে৷ তিনি বলেন, কারফিউ এলাকায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দোকানপাট, বাজার খোলা থাকবে৷ তবে, জিম, শপিং মল, সিনেমা হল, সুইমিং পুল, বিউটি পার্লার, সেলুন, পার্ক বন্ধ থাকবে৷ তেমনি, ধাবা ও রেস্টুরেন্ট দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে৷ তিনি জানান, ওই এলাকা বাদে সারা ত্রিপুরায় আগামীকাল ভোর পাঁচটা থেকে করোনা কারফিউ জারি থাকবে না৷ সেখানে যথারীতি সমস্ত কিছু স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে৷ কিন্তু জেলাশাসক প্রয়োজন বোধে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কারফিউ জারি করতে পারবেন৷ তাঁর সাফ কথা, করোনা কারফিউ জারি এলাকায় পূর্বের মতোই বিধিনিষেধে ছাড় রয়েছে৷

