মহুয়ার অভিযোগ খণ্ডন রাজ্যপালের, বিভ্রান্তির কৌশল বললেন জগদীপ

কলকাতা, ৭ জুন (হি.স.): ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। পালটা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সোমবার মহুয়ার অভিযোগ খারিজ করলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের আত্মীয়-পরিবারের সদস্যদেরই নিয়োগ করেছেন ধনকর, অভিযোগ মহুয়ার। আর এই স্বজনপোষণের অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তিনি রাজভবনের একাধিক কর্মীর নাম, পদমর্যাদা এবং রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
সোমবার রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, “টুইট ও মিডিয়ায় মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য যে ব্যক্তিগত কর্মীদের মধ্যে ছয় জন ওএসডি আমার আত্মীয়। এটা সত্যই ভুল। ওএসডি-রা তিনটি রাজ্যের এবং চারটি ভিন্ন বর্ণের অন্তর্গত। এঁদের কেউই আমার নিকটতম পরিবারের অংশ নয়। তাঁদের মধ্যে চার জন আমার জাতি বা রাজ্যের নয়। মমতা-প্রশাসনের উদ্বেগজনক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি এড়ানোর চেষ্টায় এই “বিভ্রান্তির কৌশল” নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের জনগণের সেবা করার এবং সংবিধানের ১৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমার নেওয়া শপথ অব্যাহত থাকবে।”
রবিবার একটি তালিকার সঙ্গে একটি টুইটও করেন মহুয়া। এই সাংসদ টুইটে লেখেন, ‘অ্যান্ড আঙ্কলজি, আপনার বর্ধিত পরিবারও আপনার সঙ্গে রাজভবনে থিতু হয়েছে।” মহুয়ার পোস্ট করা এই তালিকা অনুযায়ী রাজ্যপালের ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) পদে রয়েছেন রাজ্যপালের এক আত্মীয়ের ছেলে। ওএসডি কো-অর্ডিনেশন অখিল চৌধুরী রাজ্যপালের পরিবার ঘনিষ্ট। ওএসডি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পদের দায়িত্বে থাকা রুচি দুবে রাজ্যপালের প্রাক্তন এডিসি মেজর গৌরাঙ্গ দীক্ষিতের স্ত্রী। ওএসডি প্রোটোকলের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত দীক্ষিত মেজর গৌরাঙ্গর ভাই। ওএসডি আইটি-র দায়িত্বে থাকা কৌস্তভ এস ভালিকার রাজ্যপালের বর্তমান এডিসি-র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। অন্যদিকে, রাজভবনে সদ্য নিযুক্ত হওয়া ওএসডি কিষাণ ধনকর রাজ্যপালের নিকট আত্মীয়। এই তালিকা পেশ করে মহুয়া দাবি করেছেন, নিকট আত্মীয়দেরই রাজভবনে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছেন রাজ্যপাল। একদিকে যখন ভোট পরবর্তী হিংসা সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে নিশানা করছেন রাজ্যপাল, তখন মহুয়ার ধনকরের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও ২৪ ঘন্টা না কাটতেই মহুয়ার অভিযোগের জবাব দিয়ে বিতর্ক নিরসনের চেষ্টা করলেন রাজ্যপাল।