নারদ মামলার শুনানীতে মন্ত্রী-নেতাদের জামিনের তীব্র বিরোধিতা

কলকাতা, ২৮ মে (হি. স.) : শুক্রবার নারদ মামলায় চার নেতা-মন্ত্রীর শুনানি শুরু হয়। শুনানি হয় ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে। গোড়াতেই প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টেরই এক বিচারপতি। তিনি জানতে চাইলেন, সিবিআইয়ের ই-মেলের ভিত্তিতে কি শুনানি করা যায়?

মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেছে হাইকোর্ট। বেঞ্চে অরিজিৎ ব্যানার্জি, রাজেশ বিন্দাল ছাড়াও আছেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জি, হরিশ ট্যান্ডন ও সৌমেন সেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব দিচ্ছি অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক কিছু শর্তের বিনিময়ে।’’ আপনারা কি বলতে চান?

তুষারবাবু বলেন, ‘‘আমি নিবেদন করছি জামিন দেবেন না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘৪ নেতা-মন্ত্রী প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন হলে মানুষের ভাবাবেগকে ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।’’ তাছাড়া জামিন হলে ‘‘মূল বিষয়টি ঠান্ডা ঘরে চলে যাবে’’ বলেও বেঞ্চকে জানান তিনি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিন্দল আশ্বস্ত করেন, ‘‘না। আমরা মূল বিষয়টিও শুনব। ঠান্ডা ঘরে যাবে না। নিশ্চিন্ত থাকুন’’। তার পরও মেহতার আর্জি, ‘‘নখ কাটতে তলোয়ার ব্যবহার করবেন না। এখানে ৫টি তলোয়ার রয়েছে’’

সলিসিটর জেনারেলকে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘আমাদের একটি পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। এতদিন সিবিআই ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেনি কেন। সাধারণত তদন্তের স্বার্থেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়ে থাকে। আগেও তো এঁরা প্রভাবশালীই ছিলেন। তবে এখন চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হল কেন?’’

বিপর্যয়ের সময় মানুষের জন্য তাঁদের কাজ করা দরকার। এতদিন যখন গ্রেফতার করা হয়নি। এখন গৃহবন্দি করে রাখার মানে হয় না। বলেন বিচারপতি মুখোপাধ্যায়।