নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মে৷৷ ভিন্নধর্মী শারীরিক প্রতিবন্ধী ১৬ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের মামলায় আটক এক ব্যক্তি৷ধৃত ব্যক্তির নাম জসীম উদ্দিন৷ বাড়ি তারকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডে৷অভিযুক্ত জসীম উদ্দিনকে আজ আদালতে প্রেরণ করেছে কদমতলা থানার পুলিস৷ এলাকা জুড়ে তীব্র উত্তেজনা৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,গত ৭ মে শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১১ টা নাগাদ উত্তর জেলার কদমতলী থানাধীন কদমতলা ব্লক এলাকা থেকে ভিন্নধর্মী শারীরিক প্রতিবন্ধী ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে কে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে যায়৷তার পরের দিন অপহরণকারী নাবালিকার বাড়িতে ফোন করে জানায়,সে নাকি ওই নাবালিকাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিবাহ করেছে৷ অপহরণকারীর ফোন পেয়ে নাবালিকার পরিবার জানতে পারে অভিযুক্ত অপহরণকারী কদমতলা থানা এলাকার তারকপুর গ্রামের তনু দাস নামের এক ব্যক্তি৷
যে তনু দাস তাদের বাড়িতে কিছুদিন যাবত আসা-যাওয়া করছিল এবং তার পরিচয় তনু দাস নামে দিয়েছিল৷ এমনকি নাবালিকাকে তার ভাইয়ের নিকট বিয়ের প্রস্তাবও দেয়৷ কিন্তু ওই ব্যক্তির প্রস্তাবে নাবালিকার পরিবার সহমত পোষণ করেনি বলে নাবালিকার পরিবারের দাবি৷পরে বালিকা পরিবারের লোকজন খবর নিলে ঘটনা অন্য মোড় নেয়৷খবর নিয়ে নাবালিকার পরিবার জানতে পারে,অভিযুক্ত অপহরণকারী তারকপুর পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসীম উদ্দিন পিতা মৃত নজিব আলি৷যার পূর্বের দুটি বউ রয়েছে৷
তড়িঘড়ি অপহৃত নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে কদমতলা থানায় অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভিন্নধর্মী নাবালিকা মেয়ে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়৷ লিখিত অভিযোগ পেয়ে কদমতলা থানার পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলাটি হাতে নিয়ে তদন্তে নেমে পড়ে৷ তদন্ত শুরু করে আজ দক্ষিণ কদমতলা এলাকা থেকে অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ৷সাথে অভিযুক্ত অপহরণকারী জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিসের হাতে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে৷
এই ঘটনা নিয়ে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান,অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ৷ আজ ধৃতকে পুলিশি রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে কদমতলা থানার পুলিশ৷
তবে পুলিসের শক্ত হাতের তৎপরতায় অপহৃত নাবালিকা উদ্ধার ও অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়াতে গোটা কদমতলা এলাকায় জুড়ে চরমে উঠা উত্তেজনা কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে৷