নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মে৷৷ রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা কম হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও কম মিলেছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৭,১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে ৪২৬ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ আক্রান্তের হার প্রায় একই ৫.৯৩ শতাংশ৷ এদিকে, ফের পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ত্রিপুরায় করোনাকালে চিন্তা রীতিমতো বাড়িয়েই চলেছে৷
কারণ, প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবরে উদ্বিগ্ণ গোটা রাজ্য৷ অবশ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২৭ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তিও পেয়েছেন৷ এক্ষেত্রে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি, এতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে চিন্তা এখনও বাড়িয়ে রেখেছে৷ কেননা নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৬০ জন শুধু পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় অবস্থান করছেন৷ তাতে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা আবারও সংক্রমণে শীর্ষস্থানে রয়েছে৷ তবে কিছুটা সংক্রমণ এই জেলায় কমেছে৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন ৭,৫২৯ জন৷
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআর ৯৮২ এবং যা পিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৬,২০২ জনকে নিয়ে মোট ৭,১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে দেখা গেছে, আরটি-পিসিআরে ৩৫ জন এবং যাাপিড অ্যান্টিজেনে ৩৯১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪২৬ জন নতুন করোনা সংক্রামিতের খোঁজ পাওয়া গেছে৷
তবে সামান্য স্বস্তির খবরও রয়েছে৷ অনেকদিন পর দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২৭ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন৷ এর ফলে বর্তমানে করোনা-আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭,৫২৯ জন৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৪৬,৫২৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ৩৮,৪৬৬ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন৷ বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের হার বেড়ে হয়েছে ৫.৩৪ শতাংশ৷ তেমনি, সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৮২.৭৯ শতাংশ৷ এদিকে মৃতের হার ১.০১ শতাংশ৷ নতুন করে পাঁচজনের মৃত্যুর ফলে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৪৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন৷
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, ক্রমাগত পশ্চিম জেলা সংক্রমণে শীর্ষ স্থান দখল করছে৷ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ১৬০ জন, দক্ষিণ জেলায় ৬৪ জন, গোমতি জেলায় ২৯ জন, ধলাই জেলায় ৪৩ জন, সিপাহিজলা জেলায় ৬০ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৩০ জন, উনকোটি জেলায় ২৬ জন এবং খোয়াই জেলায় ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক জেলায় করোনার সংক্রমণ অতি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে৷ পশ্চিম জেলায় কিছুটা সংক্রমণ কমেছে৷ কিন্তু দক্ষিণ ও সিপাহিজলা জেলা করোনার দৈনিক সংক্রমণ সমানে সমানে চলছে৷