নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ মে৷৷ শুক্রবার বনদপ্তর এর কর্মীরা ধর্মনগরের দীঘলবাক নোয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ কাঠ উদ্ধার করেছেন৷ তবে কাঠ পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি বনদপ্তরের কর্মীরা৷
অবশেষে অবৈধ কাঠের মজুত ভান্ডারে অভিযান বনদপ্তরের৷ ঘটনা ধর্মনগরের দীঘলবাগ এবং নয়াপাড়ার মধ্যবর্তী স্থান পুরপরিষদের ৩নং ওয়ার্ডে৷ সেখানকার নরজুল হকের বাড়িতে হানা দিয়ে উত্তর ত্রিপুরা জেলার বন দপ্তরের আধিকারিকরা আনুমানিক লক্ষাধিক টাকা বাজার মুল্যের সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছেন৷তবে বাড়ির মালিক নরজুল হককে আটক করতে
সক্ষম হয়নি৷এলাকা সুত্রে খবর নরজুল দীর্ঘ দিন ধরেই অবৈধ কাঠের ব্যবসার সাথে জড়িত৷নরজুল হক বাড়িতেই অবৈধ কাঠ মজুত করে কাঠ পাচার বাণিজ্য চালাতো৷
অবশেষে শুক্রবার বনদপ্তরের কর্মীরা নরজুল হকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর অবৈধ কাঠ উদ্ধার করেন৷ তবে নরজুল হককে আটক করতে না পারায় বনদপ্তরের এই অভিযান নিয়েও সংশ্লিষ্ট এলাকায় গুঞ্জন চলেছে৷ একাংশ আধিকারিকদের ম্যানেজ না করে শহরের উপর এইভাবে অবৈধ কাঠ মজুত করে রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না, এমনটাই বলছেন এলাকার লোজনেরা৷আটককৃত অবৈধ সেগুন কাঠ গুলি উত্তর জেলা বনদপ্তরের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই নরজুলকে এই মামলা থেকে বাচাতে ২ -১ জন তথাকথিত সমাজ সেবি আধাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছেন বলে খবর৷ অবৈধভাবে বনজ সম্পদ ধবংস করে কার্ড পাচারে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী৷

