ত্রিপুরায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করোনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গ্রুপ গঠন করেছে রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে৷৷ ত্রিপুরায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করোনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গ্রুপ গঠন করেছে রাজ্য সরকার৷ রাজ্য স্তর থেকে শুরু করে গ্রামীণ স্তর পর্যন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রূপরেখা স্থির করা হয়েছে৷ রাজ্য স্তরের কমিটির পাশাপাশি জেলা স্তর, ব্লক স্তর, এডিসি-র জন্য পৃথকভাবে কমিটি, পুর নিগম, নিগমের প্রত্যেক ওয়ার্ড, নগর সংস্থা, পঞ্চায়েত স্তর এবং গ্রামস্তরে কমিটি গঠনে মুখ্যসচিব বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন৷ প্রধানত, সংক্রমণ ছড়ানো রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণই মূল লক্ষ্য৷


ওই কমিটিগুলি মূলত প্রতিদিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে৷ এছাড়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সিদ্ধান্ত নেবে৷ শুধু তা-ই নয়, জনগণের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এবং করোনা-বিধি কঠোরভাবে বাস্তবায়নে এবং চিকিৎসা প্রদানে কাজ করবে৷ বিভিন্ন স্তরের দুযর্োগ ব্যবস্থাপনা গ্রুপে রাজ্য স্তরের কমিটিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী, রাজস্ব মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, পূর্ব ও পশ্চিম ত্রিপুরার দুই সাংসদ, রাজ্যসভার সদস্য, মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রধানসচিব, ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক এবং রাজস্ব সচিব৷


জেলা ভিত্তিক কমিটিতে ত্রিপুরা মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে৷ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, সিপাহিজলা জেলায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, গোমতি জেলায় কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় রাজস্ব মন্ত্রী এনসি দেববর্মা, খোয়াই জেলায় জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, ধলাই জেলায় খাদ্য মন্ত্রী মনোজকান্তি দেব, উনকোটি জেলায় সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় উপাধক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ প্রত্যেক জেলা কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কদের যুক্ত করা হয়েছে৷ এছাড়া, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলা শিক্ষা আধিকারিকরাও ওই কমিটিতে রয়েছেন৷


তেমনি, ব্লক, নগর সংস্থা, পুর নিগম, পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ স্তরের কমিটিতে স্থানীয় বিধায়ক, গ্রামপ্রধান, গ্রামসচিব, পুর কমিশনার সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নিয়ে কমিটিগুলি গঠন করা হয়েছে৷ কারণ, করোনা-র ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে হবে, এমনটাই স্থির করেছে ত্রিপুরা সরকার৷ সে মোতাবেক ওই কমিটিগুলি সকলের সাথে সমন্বয় রেখে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার৷