সভ্য সমাজের নগ্ণরূপ দেখল তেলিয়ামুড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৪ মে৷৷ এ যেন সভ্য সমাজের একটি অসভ্য বর্বরোচিত এবং ন্যাক্কারজনক হৃদয় বিদারক অমান্য ঘটনা৷ পৃথিবীর আলোময় দৃশ্য দেখার আগেই গর্ভপাত করিয়ে জন্মের পূর্বে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেওয়া হয় কোন এক ছড়া কিংবা নর্দমার জলে৷


এমনকি শৌচালয় থেকে জ্যান্ত সদ্যজাত পুত্র সন্তানের ঘটনা ইতিহাস রয়েছে তেলিয়ামুড়া তে৷ তবে যাই হোক না কেন? এই ধরনের ঘটনায় একটি বাণী উঠে আসে ,আহারে এটাই তোর সভ্য সমাজের আসল চেহারা৷ এমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইল আজ তথা শুক্রবার সাড়ে বারোটা নাগাদ৷ ঘটনা ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এব অধীন তেলিয়ামুড়া থানার খাসিয়া মঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসিয়া মঙ্গল ব্রিজ সংলগ্ণ হরিশ চন্দ্র কলই পাড়াতে৷ এই বর্বরোচিত ঘটনায় ছি:ছি: রব উঠেছে তেলিয়ামুড়া শহর জুড়ে৷ এ যেন কোন এক মায়ের অপকর্মের ফসল ও হতে পারে৷ না হলে কি এই ছোট্ট ভ্রুন টিকে তিলে তিলে গর্ভে ধারণ করে পরবর্তী সময়ে তিন-চার মাস কেটে যাওয়ার পর সভ্য সমাজের কাছে পিতার পরিচয় না দিতে পেরে গর্ভপাত করিয়ে ফেলে দিল খাসিয়া মঙ্গল ছড়ার জলে৷ এই দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ এলাকার লোকজন যখন খাসিয়া মঙ্গল ছড়ার জলে স্নান করতে যায় তখনই লক্ষ্য করে একটি ছোট্ট ফুটফুটে শিশু যে এখনো পৃথিবীর আলো দেখে নি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ছড়ার জলে৷ এই শিশুটিকে দেখে গোটা এলাকা জুড়ে দেখা দেয় নানান প্রশ্ণ৷

নানান প্রশ্ণের মধ্য দিয়ে পরবর্তী সময় এলাকাবাসী তেলিয়ামুড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে ময়না তদন্তের জন্য৷ উদ্ধারকৃত শিশুটি একটি পুত্র সন্তান৷এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমত কেনইবা শিশুটিকে গর্ভপাত কারল পুত্র শিশুটির মাতা৷ সেই কাজে কি কোন চিকিৎসক ও জড়িত রয়েছে কিনা সেই বিষয়েও হাজারো প্রশ্ণ করতে শুরু করে দিয়েছে৷ বিগত দিনে অনেক অনেক এই ধরনের ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে দেখা গেছে কোন কন্যা ভ্রূণ অথবা ছেলে শিশুর ভ্রূণ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যেতে৷ এমন অহরহ ঘটনার সাক্ষী আছে অনেক আগেই প্রাপ্ত গরভ শিশুকে ও পাওয়া গেছে বিভিন্ন জায়গায় এবং এই শিশুগুলি কে চুল তুলে দেওয়া হয়েছে চাইল্ড লাইনের কাছে ৷ তাহলে কি বলা যাই না মা-বাবার অনিচ্ছাকৃত জন্ম নেওয়া শিশুতে এভাবে রাস্তার পাশে নর্দমায় ফেলে দেওয়া সামাজিক অবক্ষয়ের সমান? তবে এ ধরনের ঘটনা রাজ্যসহ তেলিয়ামুড়া ঘটছে প্রতিনিয়তই৷ এই ধরনের এই ধরনের ঘটনা রুখতে কি প্রশাসনের কোনো দায়বদ্ধতা নেই? প্রশ্ণটা প্রতিবেদকের নয়৷ সভ্য সমাজের বসবাসকারী একাংশ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের৷