নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মে৷৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ ধলাই জেলা সদর আমবাসা ও কমলপুর মহকুমার কোভিড কেয়ার সেন্টারগুলি পরিদর্শন করেন৷ জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে আমবাসা রেলওয়ে গেস্ট হাউসের ডেডিকেটেড কোভিড কেয়ার সেন্টার-১ পরিদর্শন করেন৷ এই কোভিড কেয়ার সেন্টারের অি’জেন বেড ইউনিট, আইসিইউ ইউনিটটি পরিদর্শন করেন এবং কোভিড কেয়ার সেন্টারের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ের খোঁজ খবর নেন৷
এখানে মুখ্যমন্ত্রী কোভিড সংক্রমিত মহিলা রোগীদের জন্য তৈরি ওয়ার্ডটিও পরিদর্শন করেন৷ এই কোভিড কেয়ার সেন্টারটি পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, একমাত্র সাবধানতাই পারে আমাদের কোভিড সংক্রমণ থেকে সুুরক্ষিত রাখতে৷ রাজ্যে ৪৫ ও তার উর্দ্ধ বয়সের নাগরিকদের কোভিড ভ্যাকসিনেশন বড়মাত্রায় সম্পন্ন হয়েছে৷ আজ থেকে শুরু হয়েছে ১৮ থেকে ৪৪ বৎসর বয়সের নাগরিকদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোভিড টিকাকরণে গুরুত্ব দিয়েছে৷ কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সকলের প্রতি আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, কোভিড স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মেনে চলতে হবে৷ কোভিড সংক্রমিতদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা জেলা ও মহকুমা স্তরে করা হয়েছে৷
রেলওয়ে গেস্ট হাউসের ডেডিকেটেড কোভিড কেয়ার সেন্টার পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী আমবাসা প’ায়েতীরাজ ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউটের কোভিড কেয়ার সেন্টার-১ পরিদর্শন করেন৷ এখানে ১৩০ টি শয্যা রয়েছে৷ চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৭ জন৷ এখানে মুখ্যমন্ত্রী কোভিড সংক্রমিতদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন৷ তাদের কোন অসুুবিধা হচ্ছে কি না সেবিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী কোভিড সংক্রমিতদের কাছ থেকে জেনে নেন৷ কোভিড কেয়ার সেন্টার পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান ধলাই জেলায় এখনও কোভিড সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা কম৷
জেলায় পজিটিভিটির হার রাজ্যের তুলনায় অনেক কম৷ তবুও সরকার জেলা ও মহকুমা স্তরে সবরকমের পরিকাঠামো প্রস্তুত রেখেছে৷ অি’জেনযুক্ত শয্যা ও আই সি ইউ-র ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ আমবাসায় কোভিড কেয়ার সেন্টারগুলি পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন বিধায়ক পরিমল দেববর্মা, প্রধান সচিব জে কে সিনহা, ধলাই জেলার জেলাশাসক গোবেকর ময়ূর রতিলাল, পুলিশ সুুপার কিশোর দেববর্মা, অতিরিক্ত জেলাশাসক মোসলেমউদ্দীন আহমেদ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিত্তর’ন দেববর্মা, আমবাসা মহকুমার মহকুমা শাসক জে ভি দোয়াতি প্রমুখ৷