বৃষ্টিপাতে ঘাটতি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, প্রভাব পরবে ফসল উৎপাদনে

আগরতলা, ৮ মে (হি. স.)৷৷ বছর দশেক পর গত এপ্রিল-এ সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷ যা প্রমাণিত করেছে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের থেকে ৬৫ শতাংশ ঘাটতি৷ ত্রিপুরায় ওই ঘাটতি আগামীদিনে পূর্ণ হবে বলে মনে করছেন না আবহাওয়াবিদ-রা৷ তাতে, ফসল উতাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে, টা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে৷ অবশ্য, মেঘালয় বাদে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একই পরিস্থিতি রয়েছে অন্যান্য রাজ্যেও৷ বর্ষা মরশুম-এ অসম সহ সমস্ত রাজ্যই একই পরিস্থিতি-র সম্মুখীন হয়েছে৷


আবহাওয়া বিভাগের মাসিক রিপোর্ট অনুসারে এপ্রিল-এ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় অনেক বৃষ্টি হয়েছে৷ অবশ্য, বৃষ্টিপাতের জাতীয় গড়-ও হতাশাজনক বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এই সময়ে ২১ শতাংশ বৃষ্টিপাত কমে জাতীয় গড় ৩১ এমএম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৬৪.২এমএম গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷ আবহাওয়া বিভাগের দাবি, গত বছর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ১২৪.৮এমএম, যা এবছর এই সময়ে কমে অর্ধেক বৃষ্টিপাত হয়েছে৷


চলতি মরশুম-এ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অসম এবং মেঘালয় ১০১.৮এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যা গত বছরের ১৯৩.৯ এমএম-র তুলনায় প্রায় ৪৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত৷ তেমনি, অরুনাচল প্রদেশ-এ গত বছরের ৩০৩.৬ এমএম বৃষ্টিপাতের তুলনায় ৪১ শতাংশ কমে ১৭৭.৮এমএম এবং নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরা-য় গত বছর-র ১৪৮ এমএম গড় বৃষ্টিপাতের ৭৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৪০.৫এমএম৷


এদিকে, প্রাক-বর্ষা মরশুম-এ ১ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত অরুনাচল প্রদেশ-এ ২৮৬এমএম, অসম-এ ১৩৫.২এমএম, মেঘালয়-এ ২৯৫.৫এমএম, নাগাল্যান্ড-এ ৯০এমএম এবং মণিপুর-এ ১৩৫.৭এমএম বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷ তাতে, স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে৷ একইভাবে, মিজোরাম ৮৪.৬এমএম এবং ত্রিপুরায় ১১৯ এমএম বৃষ্টিপাত মারাত্মক ঘাটতি-র প্রমান মিলেছে৷
আবহাওয়া বিভাগের দাবি, ত্রিপুরায় ওই সময়ে স্বাভাবিকভাবে ৩৪৩এমএম বৃষ্টিপাত হয়৷ তাতে, এবছর প্রায় ৬৫ শতাংশ বৃষ্টিপাতে ঘাটতি-র হিসেব মিলেছে৷ আবহাওয়া বিভাগের জনৈক আধিকারিকের দাবি, ২০১১ সালের পর ত্রিপুরায় এবছর মরশুমী বৃষ্টিপাতে সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছে৷ তবে, আগামী ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের অনুমান করা হচ্ছে৷ তাতে, ঘাটতি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে৷ ওই আধিকারিকের কথায়, ১০ ও ১১ মে পশ্চিম, খোয়াই এবং ধলাই জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷
বৃষ্টিপাতের এই ঘাটতি মরশুমী ফসল এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী উতাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে৷ এক্ষেত্রে, কৃষিজীবী অংশের মানুষের লুকসান হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *