আগরতলা, ২৬ এপ্রিল (হি. স.)৷৷ গণ পরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ তাতে, বাস এবং অটোতে ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে৷ বাস পরিবহনে ২৫ শতাংশ এবং অটোতে ২০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে সায় দিয়েছে পরিবহন দফতর৷ পরিবহন মন্ত্রীর দাবি, ডিজেলে ৩২ শতাংশ এবং পেট্রল ও সিএনজিওতে ৩০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে যানবাহন মালিক এবং জনগণের সুবিধা চিন্তায় রেখেই ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে৷
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পূর্বতন সরকার কোন ভাড়া বাড়ায়নি৷ ফলে যানবাহন মালিকরা যেমন খুশি ভাড়া আদায় করতেন৷ তাই, যানবাহন মালিক এবং শ্রমিকরা কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হন, সেদিকে খেয়াল রেখে ২০১৮ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিল৷ কিন্ত, তারপর থেকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে৷ তাই, পুণরায় ভাড়া বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে৷ কারণ, যাত্রী পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দিতে হবে৷ তাই, মন্ত্রিসভা ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
এক তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১২ সালে পেট্রলের মূল্য ছিল ৬৭.১৭ টাকা, ডিজেল ৪৬.৭৫ টাকা এবং সিএনজি ৩২.৪৬ টাকা৷ সেই তুলনায় বর্তমানে পেট্রল ৯০.৬৪ টাকা, ডিজেল ৮৪.২১ টাকা এবং সিএনজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে৷
তাঁর কথায় ডিজেলে ৩২ শতাংশ এবং পেট্রল ও সিএনজি-তে ৩০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে৷ তাই, বাসে ২৫ শতাংশ এবং অটোতে ২০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে, নাগরিক সুবিধা মাথায় রেখে পরিষেবার পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, সিটি বাস সার্ভিস প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে৷ তা পুণরায় চালু করার জন্য বিকল্প পদ্ধতি ভাবছে ত্রিপুরা সরকার৷ তিনি জানান, এক্সপ্রেস বাস পরিষেবা চালু হচ্ছে৷ তার জন্য নতুন করে পারমিট দেওয়া হবে৷
তিনি বলেন, ভাড়া বৃদ্ধি করা হচ্ছে ঠিকই৷ কিন্ত, প্রত্যেক বাসে ভাড়ার তালিকা ডিসপ্লে করতে হবে৷ এছাড়া ডিজিট্যাল পেমেন্টের জন্য ত্রিপুরা সরকার উতাহ দেবে৷ এক্ষেত্রে বাসে ডিজিট্যাল পেমেন্টের সুবিধা থাকতেই হবে৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরা সরকার ১০০ শতাংশ মিটার অটো পরিষেবার লক্ষ্যে চলছে৷