আগরতলা, ২৪ এপ্রিল (হি. স.)৷৷ ত্রিপুরায় ১৮ বছরের উর্ধে কলকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে৷ আজ ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তাতে, সব মিলিয়ে ১৩৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, ৪৫ বছরের উর্ধেসকল-কে করোনা-র প্রতিষেধক বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে৷ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ বছরের উর্ধে সকল-কে প্রতিষেধকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ১ মে থেকে তাদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে৷ কিন্ত, ১৮ বছরের উর্ধে এবং ৪৫ বছরের কম বয়সীদের টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে না৷ স্বল্প মূল্যের বিনিময়ে তারা প্রতিষেধক নিতে পারবেন৷ কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তে বিরোধীরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন এবং টিকা সকলকে বিনামূল্যে দেওয়ার দাবি তুলেছেন৷
আজ ত্রিপুরা মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৮ বছরের উর্ধে সকলের টিকাকরণও বিনামূল্যে হবে৷ তার জন্য সমস্ত খরচ ত্রিপুরা সরকার বহন করবে৷ এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, ১৮ থেকে ৪৪ বছর পর্যন্ত ত্রিপুরায় ১৬ লক্ষ মানুষ রয়েছেন৷ ফলে, ৩২ লক্ষ ডোজর প্রয়োজন রয়েছে৷ কিছু ডোজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এদিকে, সিরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ড প্রতি ডোজ ৪০০ টাকা দর-এ ত্রিপুরা সরকারের কাছে বিক্রি করবে৷ তাই, সবমিলিয়ে ওই ১৬ লক্ষের জন্য প্রতিষেধক ক্রয়ে ১৩০ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে৷ এছাড়া সিরিঞ্জ ক্রয়ে প্রতি ডোজ ৫ টাকা করে ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য খাতে আরও ১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে৷ তিনি জানান, সব মিলিয়ে ১৮ বছরের উর্ধে বয়সীদের টিকাকরণ-এ ১৩৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা খরচ হবে৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ টিকাকণের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে৷ সেই তুলনায় জাতীয় গড় ৬ শতাংশ বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কর্মী ৯৩ শতাংশ এবং সামনের সারির কর্মী ৯২ শতাংশের টিকাকরণ হয়ে গেছে৷ এদিকে, ত্রিপুরা সরকার এখন পর্যন্ত ১১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৭০টি ডোজ পেয়েছে৷ তার মধ্যে ৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৪৮০টি ডোজ ব্যবহার হয়ে গেছে৷