আজ থেকে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় নৈশকালীন কারফিউ

আগরতলা, ২১ এপ্রিল (হি. স.)৷৷ করোনা-র প্রকোপ-র মারাত্মক বৃদ্ধি-তে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় পুর নিগম এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নৈশকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে৷ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ওই কারফিউ জারি করার ক্ষেত্রে জেলাস্তরে সাম্প্রতিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি-কে কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১ এপ্রিল এখন পর্যন্ত সারা ত্রিপুরায় ৫৭৭ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ তাদের মধ্যে ৪৮৪ জন শুধু পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় রয়েছেন৷ ধারনা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই পুর এলাকার বাসিন্দা রয়েছেন৷


প্রসঙ্গত, হঠাৎ করে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধিতে বিশেষত পশ্চিম জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকার নাইট কারফিউ জারী করেছে৷ করোনা মোকাবিলা নিয়ে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সরকারী বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ মূলত মন্ত্রিসভা রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে৷ তাতে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় নাইট কারফিউ জারী করা অত্যন্ত জরুরী বলে গুরুত্ব পেয়েছিল৷
নৈশকালীন কারফিউ জারি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্য সচিব মনোজ কুমার৷ তাতে, বৃহস্পতিবার থেকে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় নৈশকালীন কারফিউ জারী করা হয়েছে৷ ২২ এপ্রিল রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ওই আদেশ কার্যকর হবে৷ ওই আদেশ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে৷

আদেশানুসারে বিভিন্ন জনসভা এবং রেলি করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ খোলা আকাশের নীচে ২০০ জন এবং হল কিংবা কমিউনিটি সেন্টারে সবর্োচ্চ ১০০ জন একত্রিত হতে পারবেন৷ সিনেমা হলে সবর্োচ্চ ৫০ শতাংশ দর্শককে বিনোদনের অনুমতি মিলবে৷ এছাড়া বিবাহ কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০০ জন এবং শেষকৃত্যে ২০ জনকে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয়া হবে৷
এদিকে, আগামীদিনে ত্রিপুরায় সমস্ত পরীক্ষা বাতিলের পথে এগিয়েছে৷ করোনা পরিস্থিতি বিগড়ে যাওয়ায় জেআরবিটির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে৷ আগামী ২৪ ও ২৫ এপ্রিল গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষার সূচি নির্ধারিত ছিল৷


স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, চলতি মাসে সারা ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তদের সবচেয়ে সংক্রমিত রয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায়৷ গত ১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা ত্রিপুরায় ৫৭৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে৷ তাদের মধ্যে শুধু পশ্চিম জেলায় করোনা সংক্রমিত-র ৪৮৪৷ শুধু তাই নয়, গত ৬ এপ্রিল থেকে সংক্রমণের হার মারাত্মক ভাবে বেড়েছে৷ সেই তুলনায় সুস্থ হয়েছেন মাত্র ৮৮ জন৷