নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ এপ্রিল৷৷ উপজাতিদের প্রধান উৎসব গরিয়া পূজা৷ রাজ্যের সর্বত্র যথাযোগ্য মর্যাদায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বাবা গড়িয়ার পুজো হয়েছে৷রাজ্যের উপজাতিদের প্রধান উৎসব গরিয়া পূজা কে কেন্দ্র করে রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়৷ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে রাজ্যের উপজাতি অংশের মানুষ বাবা গড়িয়া পূজা যথাযোগ্য মর্যাদায় করেছেন৷ গড়িয়া পূজা কে কেন্দ্র করে গত প্রায় এক মাস ধরে উপজাতি মানুষের মধ্যে নানারকম প্রস্তুতি চলছিল৷ প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ৭ তারিখ বাবা গড়িয়া পূজা হয়৷
বিশেষ করে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বাবা গড়িয়ার পূজাক কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ রাজধানী আগরতলা শহর এলাকায় যেসব স্থানে উপজাতি বংশের মানুষের বসবাস সেখানেও বাবা গড়িয়া পূজাকে কেন্দ্র করে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়৷ ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি সার্বজনীনভাবেও বাবা গড়িয়া পূজা হচ্ছে রাজধানী আগরতলা শহর ও শহরতলীর এলাকায়৷ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকল উপজাতীয় অংশের বাড়িঘরে বাবা গড়িয়া পূজিত হচ্ছে৷ গড়িয়া পূজা সাধ্যমত সবাই বলি দেন৷ রাজ্যের উপজাতির মধ্যে এই বলি প্রথা আদি অনন্ত কাল ধরে চলে আসছে৷ গড়িয়া পূজা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানান পুরোহিত চন্তাই৷রাজধানী আগরতলা শহর এলাকার উজান অভয়নগরে নেতাজি ক্লাবের উদ্যোগে সর্বজনীনভাবে বাবা গড়িয়ার পূজা হয়৷ গড়িয়া পূজা উপলক্ষেউজান অভয়নগরে মেলা বসে৷
পূজা কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত দেববর্মা জানান এ বছর করোণা বিধি মেনেই বাবা গড়িয়া পূজা ও মেলা করা হচ্ছে৷ প্রজা এবং মেলায় আসা প্রত্যেকে পণ্যটিকে মাক্স পরিধান করতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে৷গড়িয়া উৎসব কার্যত উপজাতিদের প্রধান উৎসব হলেও রাজ্যের জাতি উপজাতি উভয় অংশের মানুষ গড়িয়া পূজার আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন৷ এবছরও তার তেমন কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি৷

