পুণে, ২১ এপ্রিল (হি.স.) : খোলা বাজারে করোনা টিকার দাম জানাল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। বুধবার আদর পুনাওয়ালার সংস্থা জানায় রাজ্য সরকারকে কোভিশিল্ডের প্রতিটি ডোজের জন্য খরচ করতে হবে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ দু’টি ডোজের জন্য লাগবে ৮০০ টাকা। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজের দাম ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা। তবে কেন্দ্রের জন্য আগের দামই বহাল থাকছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১৫০ টাকা প্রতি ডোজ়েই ভ্যাকসিন পাবে। অর্থাৎ কেন্দ্রের চেয়ে বেশি দামে রাজ্য সরকারগুলিকে কোভিশিল্ড কিনতে হবে।
কেন্দ্র তৃতীয় দফার টিকাকরণে একাধিক বড় ঘোষণা করেছে। কার্যত বয়সবিধি তুলে নিয়ে পয়লা মে থেকে সকলের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। ওই দিন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনও ব্যক্তি করোনা টিকা নেওয়ার জন্য যোগ্য। এ ছাড়াও রাজ্যগুলিকে সরাসরি ভ্যাকসিন নির্মাতাদের কাছে থেকে করোনা টিকা কেনার সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি খোলা বাজারেও টিকা আনার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যগুলি কত টাকায় ভ্যাকসিন কিনতে পারবে তা এতদিন জানা ছিল না। কেন্দ্র জানিয়েছিল আগে ভ্যাকসিনের দাম ঘোষণা করতে হবে ভ্যাকসিন নির্মাতাদের, তারপর রাজ্যগুলি টিকা কিনবে। সেই মত আজ ভ্যাকসিনের দাম জানাল সেরাম ইনস্টিটিউট। রাজ্য সরকারগুলিকে ৪০০ টাকা দরে এবং বেসরকারি হাসপাতালকে ৬০০ টাকা দরে কোভিশিল্ড টিকা বিক্রি করবে তারা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকা দরে ভ্য়াকসিন বিক্রি করবে সংস্থাটি। সেরামের তরফে আরও বলা হয়, “আগামী দু’মাস আমাদের উৎপাদনের ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন ভারত সরকারকে দেওয়া হবে। আর বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি পাবে।”
অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে যে ভ্যাকসিনের দাম তুলনামূলক কম, সে কথাও তুলে ধরা হয় আদর পুনাওয়ালার সংস্থার তরফে। বলা হয়েছে, আমেরিকায় যেখানে ভ্যাকসিনের দাম ১৫০০ টাকা, রাশিয়া ও চিনে প্রতি ডোজের মূল্য ৭৫০ টাকা। সেখানে ভারতে কোভিশিল্ড অনেকটাই সস্তা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে টিকাকরণের দ্বিতীয় দফায় ডোজপিছু ২৫০ টাকায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে প্রতিষেধক প্রদান করা হচ্ছে। তার ফলে আমজনতাকে টিকার জন্য বাড়তি টাকা গুণতে হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।