গুয়াহাটি, ১৭ এপ্রিল (হি.স.) : দেশের কয়েকটি রাজ্যে কোভিড-১৯ ভয়ংকরভাবে সংক্ৰমিত হচ্ছে। তার প্রতি লক্ষ্য রেখে ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে সিবিএসএই-র দশম এবং দ্বাদশ শ্ৰেণির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এদিকে অসমেও কোভিড-এর দ্রুত সংক্রমণ হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে এখনই অসম মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ (সেবা) পরিচালিত এবারের হাইস্কুল শিক্ষান্ত বা মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা।
আজ শনিবার গুয়হাটিতে আয়োজিত এবং সাংবাদিক সম্মেলনে কোভিড সংক্রমণ, ভ্যাকসিন এবং আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছিলেন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. শৰ্মা। মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে কিছু বিশেষ সমস্যা আছে। সিবিএসই-র অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হয়। কিন্তু এখানে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হয় না। আজ আমরা যদি ছাত্ৰছাত্ৰীদের পরীক্ষা না নিয়ে উত্তীর্ণ করিয়ে দেই, তা হলে কটন বিশ্ববিদ্যালয়, প্ৰাগজ্যোতিষ মহাবিদ্যালয়, আর্য বিদ্যাপীঠ মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি কলেজে কে তাদের ভরতি করাবে? সে সিদ্ধান্ত তো আমরা নিতে পারব না। এছাড়া আমাদের এখানে অনলাইন পরীক্ষাও হতে পারে না। কেননা গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী বহু ছাত্ৰছাত্ৰীর অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার মতো সুবিধা বা ব্যবস্থা নেই। অতএব, কোভিডের সম্ভাব্য পরিস্থিতি এবং এখানকার ব্যবহারিক অসুবিধা ইত্যাদি বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সেবা কর্তৃপক্ষকে নিজেদের প্রস্তুত থাকতে হবে বলে ফের মন্ত্রী বলেন, সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার গ্রহণ করছে তা অসমের মতো রাজ্যে সম্ভবপর নয়। সুতরাং আজ বা কাল মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করাতেই হবে। এজন্যই বিহুর পর থেকে সূচি অনুযায়ী মাধ্যমিক পরীক্ষার সপ্তাহখানেক আগে কোভিডের পরিৱেশ কী হয় তার ওপর নজর রাখতে হবে। কেননা যে সকল ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে তারা স্কুলে যায়-ইনি। তারা এখনও নিজের নিজের ঘরেই আছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নতুন সরকার গরহণ করলে ভালো হবে বলেও শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা নিজের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে ২ মে। এর আগে এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, স্পষ্ট করেন মন্ত্রী ড. শর্মা। তাই নতুন সরকারের ওপরেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হবে। তাছাড়া অসমে এখনও আদর্শ নির্বাচনি আচরণবিধি বলবৎ রয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি বা তাঁর বর্তমান সরকার এ-ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চান না। একান্তই যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা-হলে নতুন করে আবার নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। তাই ২ মে-র আগে কোনও সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকার নিতে চায় না। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা যেহেতু ১১ মে থেকে, তাই ৩ বা ৪ মে-তে সিদ্ধান্ত নিলেও তা কার্যকর হবে, বলেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ বহু দফতরের মন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা।