করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পঠন-পাঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাজ্যে

আগরতলা, ৮ এপ্রিল (হি. স.)৷৷ করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পঠন-পাঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরার শিক্ষা দফতর৷ এছাড়া, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পঠন-পাঠন রোজ হওয়ার বদলে একদিন অন্তর হবে৷ আজ শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ একথা জানিয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে৷


এই পরিস্থিতিতে সুকল-কলেজগুলি কতদিন খোলা রাখা সম্ভব হবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না৷ এমনিতেই, সরকারি সুকলগুলিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া এখনও সম্ভব হয়নি৷ এমতাবস্থায়, মে মাসের অন্তিম সপ্তাহ নাগাদ ওই বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দফতরের৷ কিন্ত, এরই মধ্যে করোনা আবারও ভয়ংকর হয়ে উঠছে৷


আজ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পঠন-পাঠন বন্ধ থাকবে এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পঠন-পাঠন একদিন অন্তর হলেও অন্যান্য শ্রেণী, কলেজ এবং হোস্টেল যথারীতি খোলা থাকবে৷
আজ শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের সভাপতিত্বে শিক্ষা দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ বৈঠকে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে দপ্তরের পক্ষ থেকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ গৃহিত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাস সপ্তাহে তিনদিন অর্থাৎ একদিন পর একদিন চালু থাকবে৷ পঞ্চম শ্রেণী থেকে যথারীতি ক্লাস চালু থাকবে বলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান৷


তিনি বলেন, বিদ্যালয়সমূহের হোস্টেল খোলা থাকবে৷ তবে সুকলে জমায়েত, খেলাধূলা এবং সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান সম্পর্ণভাবে বন্ধ থাকবে৷ বার্ষিক পরীক্ষা, প্রি-বোর্ড পরীক্ষাসহ বোর্ডের পরীক্ষার সূচি এখনও পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকছে৷ ডিগ্রী কলেজ, কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথারীতি খোলা থাকছে৷ তবে কোভিড-১৯ প্রটোকল মেনে বিদ্যালয়সমূহ চালু থাকবে৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার ক্ষতি হবে জেনেও দপ্তরকে বাধ্য হয়েই স্বাস্থ্য সুুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে৷ সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে৷