কলকাতা, ৬ এপ্রিল (হি. স.) : দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন বুথে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিজেপি-র মিডিয়া গ্রুপে অভিযোগ করা হয়েছে,রায়দিঘি বিধানসভা অঞ্চলের বামুনের চকে তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি-র পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। শ্রীফলতলার মুসলমানপাড়ায় ১৮৯ নম্বর বুথে এবং নন্দকুমারপুর গ্রামপঞ্চায়েতের নারানপুরে ২৭২ নম্বর বুথে হামলা চালিয়ে বিজেপি ভোটদাতাদের হুমকি দেয়।
অভিযোগ, বিষ্ণুপুর বিধানসভার অন্তর্গত আমগাছিয়া অঞ্চলের ১৩৯ বুথে বিজেপি পোলিং এজেন্টদের মারধোর করে তাড়িয়ে দিয়েছে টিএমসি-র হারমাদ বাহিনী। এই বিধানসভার অন্তর্গত পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৩ নম্বর বুথে, এই বিধানসভার অন্তর্গত আমগাছিয়া অঞ্চলের ২৩৯/১০৫/১৩৫ প্রভৃতি বুথে এবং কুলেরদাঁড়ী অঞ্চলের ১০৭ বুথে তৃণমূল কর্মীরা পোলিং এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না। ভোটাররা ভোট দিতে যাচ্ছে তাদের মেরে তাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনকে বারবার জানালেও কোন কাজ হচ্ছে না। অভিযোগ, সাতগাছিয়া বিধান সভার অন্তর্গত ২০৫ নং বুথে টিএমসি হারমাদ বাহিনীর বোমা মেরে সন্ত্রাস করে বিরোধীদের ভোট দিতে বাধা দেয়।
বিজেপি-র অভিযোগ, ফলতা বিধানসভার ১৪৪ নম্বর বুথে এবং মল্লিকপুর, গোপালপুর, হরিণডাঙ্গা এক নম্বর ব্লকে তৃণমূল ভোট দিতে দিচ্ছে না। বেলসিংহা ২-এর ১৮০ থেকে ১৯১ নম্বর বুথ দখল করে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। এ ছাড়াও ৯৬, ৯৭, ১০৩, ১০৪, ১০৮, ১১০, ১১১, ১৩২, ১৩৩, ১৫২, ১৫৩, ১৬০ ও ২২৫ বুথগুলিও দখল করে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দেয়।
অভিযোগ, বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত দক্ষিণ বেলেগাছি ১১৪ নম্বর বুথে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের উপর তৃণমূল দুষ্কৃতীর হামলা চালায়। আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভোর থেকে গ্রামবাসীদের হুমকি দেওয়া হয় তারা যদি ভোট দিতে যায় তাহলে তাদের মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে। সারারাত ধরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি ও গুলি চালায়। প্রশাসনিক দিক থেকে কোনও ভাবে সাহায্য পায়নি গ্রামবাসীরা। জয়নগর বিধানসভা কেন্দ্রে ২২৭ নম্বর বুথে হামলার অভিযোগও এনেছে বিজেপি।
এদিনই দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে আইএসএফের বিরুদ্ধে অশান্তি বাধানোর অভিযোগ তোলেন সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা। অথচ সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে হাতগুটিয়ে বসেছিল। তাঁদের চোখের সামনেই নিগৃহ করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে। এরই প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান শওকত। এরপরে পরেই শওকতের পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।