লন্ডন, ৫ এপ্রিল (হি. স.) : করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশের নাগরিকদের সপ্তাহে দু’বার করে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল ব্রিটেন সরকার। আগামী শুক্রবার থেকে প্রত্যেক নাগরিককে এক সপ্তাহে দু’বার করেনার পরীক্ষা করাতে হবে। যাতে দ্রুত করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করা যায় তার জন্য নমুনা পরীক্ষার কিট সহজলভ্য করা হচ্ছে।
করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে এবং করোবনার টিকাকরণ কর্মসূচি জোরদার করে দেশে মারণ ভাইরাসকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ব্রিটেন সরকার। যার ফলে সাম্প্রতিক সময়ে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আগামী ১২ এপ্রিল দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। ওই বৈঠকে অনাবশ্যক দোকান, পানশালা ও রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’ দেশের নাগরিকদের সপ্তাহে দু’বার করে করোনা পরীক্ষা করার জন্য বরিস জনসন প্রশাসন যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তার সমালোচনা করেছেন ব্রিটেনের বিরোধী দলগুলির নেতারা। তাঁদের মতে, ‘এই নির্দেশিকার ফলে সাধারণ মানুষের কাঁধে খরচের বোঝাই শুধু বাড়বে।’
যদিও সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘আগামী ৯ এপ্রিল থেকে সবাইকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার বিষয়টি নাগরিকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই নেওয়া হয়েছে। দেশ থেকে মারণ ভাইরাসকে দূর করার জন্য এর চেয়ে আর কোনও ভাল পন্থা থাকতে পারে না।’ ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বাড়িতে বসে করোনা পরীক্ষায় যদি কারও শরীরে মারণ ভাইরাস শনাক্ত হয়, তাহলে তাঁকে অবশ্যই বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে হবে। পরবর্তীতে পিসিআর কোভিড টেস্ট করাতে হবে।’