চৈত্র মেলা : প্রশাসনের সাড়া না পেলেও তৎপর হকাররা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ এপ্রিল৷৷ চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে প্রতি বছর রাজধানীর শকুন্তলা রোডে রিডাকশান সেলের ব্যবস্থা করা হয়৷ প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রিডাকশান সেলের ব্যবস্থা করা হয়৷ কিন্তু বিগত বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপের জেরে এই রিডাকশান সেলের ব্যবস্থা করা হয় নি৷ এই বছরও এখনো পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কোন ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি৷ সময় আর বেশি নেই চৈত্র সংক্রান্তি সামনে৷


তাই ব্যবসায়ীরা শনিবার রিডাকশান সেলের ব্যবস্থা করার দাবিতে সিটি সেন্টার সংলগ্ণ আগরতলা পুর নিগমের কার্যালয়ে গিয়ে পুর নিগমের সেন্ট্রাল জোনের সহকারী কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করে৷ পাশাপাশি তারা পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে একই দাবি জানায়৷ কিন্তু জেলা শাসক জানান এই বিষয়ে প্রশাসনিক ভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে৷ যেহেতু করোনার প্রকোপ রয়ে গেছে তাই শকুন্তলা রোডে নয় শিশু উদ্যানের রাস্তার পাশে এই রিডাকশন সেলের ব্যবস্থা করা হবে৷ প্রায় ৪ শতাধিক দোকানদার রয়েছে৷


কিন্তু শিশু উদ্যানের রাস্তার পাশে রিডাকশন সেলের ব্যবস্থা করা হলে ৭০ থেকে ৮০ জন দোকানদার ব্যবসা করার সুযোগ পাবে৷ এই পরিস্থিতিতে রবিবার ব্যবসায়ীরা তাদের নিজেদের মতো করে শকুন্তলা রোডে দোকানের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে নেয়৷ তাদের বক্তব্য শকুন্তলা রোডে তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য বছরের ন্যায় ব্যবসা করবে৷ কারন তারা ঋন নিয়ে পোশাক সহ অন্যান্য সামগ্রী আমদানি করেছে ব্যবসা করার জন্য৷ ব্যবসা করতে না পারলে আর্থিক ভাবে ক্ষতির সন্মুখিন হবে তারা৷ ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পারবে না তারা৷ তাদের প্রশ্ণ মিটিং মিছিল সহ বড় বড় শপিং মল গুলি চলছে৷ এতে করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ না হলে তাদের ক্ষেত্রে কেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের যুক্তি দেখানো হচ্ছে৷