আগরতলা, ২ এপ্রিল (হি. স.) : পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার ১২ বছরে সাড়ে চার চাকুরী দিয়েছিল৷ সেই তুলনায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার তিন বছরে স্থায়ী, অস্থায়ী মিলিয়ে এক লক্ষ দুই হাজার মানুষকে চাকুরী দিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, রেগায় শ্রম দিবস পূর্বতন সরকারের তুলনায় অনেক বেড়েছে৷ এডিসি নির্বাচন উপলক্ষ্যে কাঞ্চনপুর-এ নির্বাচনী জনসভায় বিরোধীদের কাজ নেই, খাদ্য নেই অভিযোগের এভাবেই কড়া ভাষায় জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তাঁর কথায়, কমিউনিস্ট শাসনের অবসান হতে-ই ত্রিপুরায় মানুষ মুক্তি পেয়েছেন৷
এদিন এডিসি নির্বাচন উপলক্ষে কাঞ্চনপুরের রোড শোয়ে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়েছে৷ বাদ্যযন্ত্র সহযোগে মিছিলে দেখা গেল বিজয়ের আত্মবিশ্বাস৷ কার্যকর্তাদের শরীরী ভাষাতে মনে হচ্ছে এবার এডিসিতে বিজেপি-আইপিএফটি জোট ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে৷
তিনি বলেন, কাঞ্চনপুর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ তাঁর দাবি, কাঞ্চনপুর-এ সার্বিক উন্নয়নের জন্য এই সরকার এখনও পর্যন্ত ২৭৬ কোটি টাকা খরচ করেছে৷ এই এলাকায় সামাজিক ভাতা দেওয়া হয়েছে ৮,২৭৯ জনকে৷ তিনি বলেন, এখন ত্রিপুরার মানুষের রোজগার ৩০ শতাংশ বেড়েছে৷
ত্রিপুরায় কাজ নেই, খাদ্য নেই বলে অভিযোগকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী আজ বিরোধীদের এক হাত নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, পূর্বতন সরকার ১২ বছরে মাত্র সাড়ে চার হাজার স্থায়ী চাকরি দিয়েছিল৷ কিন্ত, বর্তমান সরকার তিন বছরে স্থায়ী, আউটসোর্সিং মিলিয়ে এক লক্ষ দুই হাজার জনকে চাকরি দিয়েছে৷ তিনি বলেন, আগে মনরেগার কাজ নিয়ে বিগত সরকার কৃতিত্ব দাবি করত৷ তখন শ্রমদিবস তৈরি হত ৩৭টি৷ এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২টিতে৷ তাঁর দাবি, অ্যাসপিরেশনাল ব্লকে ৯৬ শ্রমদিবস কাজ দিয়েছে বর্তমান সরকার৷ তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, কমিউনিস্ট শাসনের অবসান হতেই ত্রিপুরার মানুষ মুক্তি পেয়েছেন৷
আজ দৃঢ়তার সাথে বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ত্রিপুরা পেয়ে যাবেন রাজ্যবাসী৷ এই সময়ের মধ্যে আগরতলা শহরে বড় বড় বহুতল বাড়ি হবে৷ তিনি বলেন, সিপিএম শাসনের ২৫ বছরে দিল্লি থেকে সরাসরি ত্রিপুরাতে কোনও বিমান ছিল না৷ এখন প্রতিদিন ২টি করে বিমান দিল্লি থেকে ত্রিপুরায় উঠানামা করছে৷ এগুলিতে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ যাত্রী আসা যাওয়া করছেন৷
এদিন বিদ্রুপের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিপিএম-র কথায় তাদের জমানায় ত্রিপুরায় স্বর্ণ যুগ ছিল৷ ক্ষমতায় আসার পর যখন আমি স্বর্ণ খুঁজতে যাই দেখি উল্টো ১৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ রয়েছে৷

