BRAKING NEWS

বিজেপির অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন, নন্দীগ্রামে পুনর্নির্বাচন নয়

কলকাতা, ৩ এপ্রিল (হি.স.) : বিজেপির আনা নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপির অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন । সেই সঙ্গে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, নন্দীগ্রামে কোনও বুথেই ভোট বন্ধ হয়নি। সেক্ষেত্রে নন্দীগ্রামে পুনর্নির্বাচন হবে না ।শুধু নন্দীগ্রাম নয় রাজ্যের প্রথম দুই দফার ৬০টি আসনের কোনও কেন্দ্রেই পুনর্নির্বাচন হবে না  বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে ।

বিজেপির পক্ষ থেকে এবার দাবি করা হল, নির্বাচন চলাকালীন নন্দীগ্রামের বয়ালের ৭ নম্বর বুথের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৪৪ ধারাকে উপেক্ষা করে ধর্ণায় বসায় ২ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। আর নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট দেখিয়ে দিয়ে বলে দিয়েছে, নন্দীগ্রামে এবার সামান্য হলেও ভোট বেডে়ছে। ২০১৬ সালে যেখানে ৮৭.১৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল নন্দীগ্রামে, সেখানে এবার ভোট পড়েছে ৮৮.০১ শতাংশ। তাই বিজেপির ভোটের হার কম পড়ার তত্ত্ব কারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন।

আবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ অফিসে চিঠি দিয়ে বিবেক দুবে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বয়ালে ভোটদান ব্যাহত হয়নি। তাদের দাবি, এই নন্দীগ্রামে  কোনও বুথেই ভোট বন্ধ হয়নি। কারচুপির যে অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তুলেছে, তাও মানতে নারাজ রাজ্যের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে। নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো তাঁদের রিপোর্টেও তাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বরং, নন্দীগ্রামে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শুধু তাই নয়, স্ক্রুটিনির পর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নন্দীগ্রাম-সহ দ্বিতীয় দফার কোনও আসনেই পুনর্নির্বাচন হবে না। প্রথম দফার ৩০ আসনেও পুনর্নির্বাচন হবে না।

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের ভোটে সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী বুথে বুথে ঘুরলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘর থেকেই গোটা বিষয়টিতে নজর রাখছিলেন। নানা জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অভিযোগ আসলেও, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে বয়াল থেকে। বারংবার অভিযোগ জানানো হয় ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। শেষমেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান বয়াল সাত নম্বর বুথে। সেখানেই দু’ঘণ্টা ওই বুথেই থাকেন তিনি। যা নিয়ে সরব হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ।

শুধু নন্দীগ্রামই নয়, নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, তীব্র গরম উপেক্ষা করেও রাজ্যের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে যথেষ্ট। ৩০ আসনে গড় ভোটের হার ৮৬.১১ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর সদরে- ৭২.৬৮ শতাংশ। কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮৬.১১ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮৭.৪২ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮৩.৮৪ শতাংশ এবং বাঁকুড়ায় ৮৬.৯৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *