তেলিয়ামুড়া হাসাপাতলে করোনার টিকা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১ এপ্রিল৷৷ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী করোনা ভ্যাকসিন নিতে এসে সাধারণ মানুষজন হয়রানি শিকার হতে হয়েছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কর্তব্যরত একাংশ চিকিৎসকদের কারণে৷ এছাড়াও রাজ্য প্রশাসন থেকে করুণা সম্পর্কিত নতুন গাইডলাইন ও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ৷সামাজিক দূরত্ব এবং মাক্স পরিবহন চুলোয় থাক৷আর সবকিছুই হয়েছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মা ও গুণধর চিকিৎসক অনির্বাণ ভৌমিকের দৌলতে৷ তারা হাসপাতালে নিয়ম নীতি চড়াও করে বলে থাকলেও আদতে এক প্রকার বাম জমানায় নীতি অবলম্বন করে সে বলে একাংশ মানুষদের অভিযোগ৷

যাই হোক না কেন বিশ্বজুড়ে যখন করুণা মহামারী থেকে বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশাপাশি ভারত সরকার এর নিয়ম নীতি অবলম্বন করে ত্রিপুরা স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশিকা জারি করে থাকলেও এই দুই গুণধর চিকিৎসক হাসপাতালে থাকলেও মানে হচ্ছে না রাজ্য সরকারের নিয়ম নীতি৷রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা অনুসারে করুনার ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তীব্রভাবে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে লোকসমাগম হয় বৃহস্পতিবার৷


এদিকে অভিযোগ ভ্যাকসিন নেওয়ার স্থানে স্থানে পুলিশ থাকলেও জগন্নাথ ভূমিকায় থেকেছে৷ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষ জন যেমন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে নি তেমনি মুখে মাক্স পরিধান পড়েনি৷এইদিকে আরও অভিযোগ তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মা এবং গুণধর চিকিৎসক অনির্বাণ ভৌমিক রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা কে কালিমালিপ্ত করার জন্যেই কাজ করে যাচ্ছে৷যদিও এই দুই গুণধর চিকিৎসক বর্তমান সরকারের নির্দেশিকা মানছেন না বলে অভিযোগ৷এদিকে দুই বৃদ্ধ মহিলা খুব এর সাথে জানেন তিন দিন ধরে হাসপাতাল চত্বরে কাটাচ্ছেন নেওয়ার জন্য হকিন্তু হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা দুর্ব্যবহার তাড়িয়ে দেয়৷


তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও এই গুণধর চিকিৎসক তথা ছঙ্গঞ্চঞ্জ চন্দন দেববর্মা এবং চিকিৎসক অনির্বাণ ভৌমিক সাধারণ মানুষদের নীতিকথার পাঠ দিয়ে থাকলেও আদতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ৷এদিকে গতকাল রাতে হালকা বর্ষণের ফলে প্রায় আধঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকেনি হাসপাতলে৷যদি একটি জেনারেটর থাকলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে জেনারেটর চালু করেনি৷এখন দেখার বিষয় যেখানে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষদের কাছে স্বাস্থ্যপরিসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা অর্থ প্রদান করে থাকলেও ওই ধরনের কর্তব্যে গাফিলতির চিকিৎসকদের কারণে সঠিক পরিষেবা পৌঁছেনা সাধারণ মানুষদের কাছ৷এখন দেখার বিষয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে উন্নতিকরণের কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন৷নাকি বাম আমলের মতই রয়ে যায়৷