নন্দীগ্রামের হুইলচেয়ার ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উঠে দাঁড়ানোয় সরব নেটিজেনরা

অশোক সেনগুপ্ত

কলকাতা, ৩০ মার্চ (হি. স.)  :  এক পা হুইলচেয়ারেই, অন্য পা মাটিতে। নন্দীগ্রামের মাটিতেই প্রথম হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খবর সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হতেই মতামতের বন্যা বয়ে যায়। ফেসবুকে সম্প্রচারের এক ঘন্টা বাদে সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় লাইক, মন্তব্য এবং শেয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩ হাজার ২০০, ১ হাজার ৬০০ ও ৬০৫।

বনশ্রী ঘোষ লিখেছেন, “এইবার এক পায়ে গোল্লা কাটবেন।“ জয়দীপ রায় লিখেছেন, “প্রচার শেষ, এবার উঠে দাঁড়াবেন। ১ তারিখ থেকে হাঁটতেও পারবেন।“ উৎপল সাহা লিখেছেন, “ঠিক।“ ত্রিদিব মন্ডল লিখেছেন, “একদম।“ দেবযানী ঘোষ লিখেছেন, “আগেই বলেছিলাম, যে উত্তেজিত হয়ে হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়বেন না, দাঁড়িয়ে পড়লেই খেলা শেষ, ব্যাস ভোটের প্রচারও শেষ, ঠেলাও শেষ, থুড়ি খেলাও শেষ।” মুকুল মজুমদার লিখেছেন, “জাতীয় সঙ্গীত চললে ভাঙা পা ঠিক হয়ে যায়। বিজ্ঞানে নবতম সংযোজন হবে এটা।“ শেখ জ্যাকি লিখেছেন, “একদম ঠিক বলেছেন।“

সৌমেন জানা লিখেছেন, “আজ অমিত শাহের র‍্যালির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জয় শ্রীরাম শুনেছেন তাই এই অবস্থা। এখন ঠেলা হচ্ছে। ঠেলতে থাকুন।“ রণিতা মন্ডল লিখেছেন, “এইভাবে নাটকের শেষ হল। এখন অস্কার কমিটি ওনাকে খুঁজছে।“ অভিজিৎ সাধু লিখেছেন, “প্রশান্ত কিশোরকে বিশ্বাস না করাই উচিত। ওনার উল্টো পাল্টা সিদ্ধান্তে আপনি জনগণের কাছে মজার পাত্রী হয়ে যাচ্ছেন।“
সৌমেন দে লিখেছেন, “সম্ভবত চেয়ারটা গরম হয়ে গেছে। নন্দীগ্রামে প্রচার আজই শেষ হলো। আজই উনি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন। সবকিছু স্ক্রিপ্টেড। আর এই গরমে এতো হাঁটাহাঁটি করার ক্ষমতাও আর নেই। তার চেয়ে চেয়ার বাঁচাতে হুইল চেয়ার জিন্দাবাদ।“

কমল বর লিখেছেন, “আজ রাস্তায় জয় শ্রী রাম শুনে ছিলেন! ওটা তার প্রভাব। সত্যি জয় শ্রী রাম এ কাজ করে।” দীপ্ত ভট্টাচার্য লিখেছেন, “পিছন থেকে জয় শ্রীরাম বললে ধরে নিয়ে জেলে ঢুকায়, অথচ ৫/৬ জন ধাক্কা দিয়ে পা ভেঙ্গে দিল, ধরতেই পারল না।
কি এক অদ্ভুত নাটক রে বাবা।“

অর্ণব মুখার্জি লিখেছেন, “জাতীয় সঙ্গীত শুরু হলে যে উঠে দাঁড়াতে হয়,সেই নুন‍্যতম জ্ঞানটাও নেই দেখছি! এরা গড়বে “শুনার বাংলা”! সৌমেন দে লিখেছেন, “কেউ অসুস্থ থাকলে বসে থাকলেও জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয় না।“ দেবযানী ঘোষ  লিখেছেন, “হুম, জাতীয় সঙ্গীত হলে উঠে দাঁড়ানো টা উচিত প্রত্যেকের, কিন্তু কাউকে যদি হুইলচেয়ার ব্যাবহার করতে হয়, কেউ যদি সত্যিই উঠে দাঁড়াতে অক্ষম হতেন, তাহলে জাতীয় সঙ্গীত হলেও তিনি উঠে দাঁড়াতে পারতেন না, শারীরিক অক্ষমতার কারণে, ইচ্ছে করে নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *