মায়ানমার,২৭ মার্চ (হি.স.) : সু চি’র দেশে ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। মায়ানমারে শনিবার সকালে সশস্ত্র দিবসের দিনেই ফের সেনাদের গুলিতে মৃত বেড়ে ৬৪ জন। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করতে গিয়ে সেনা-পুলিশের গুলিতে আত্মবলিদান দিলেন চারশোর বেশি বিক্ষোভকারী।শাসন বিরোধীদের রক্তে ফের রক্তাক্ত মায়ানমারের মাটি। শনিবার সেখানে আন্দোলনকারীদের উপর সেনা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। তাতে কমপক্ষে ৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেনার গুলিতে ১ বালকেরও মৃত্যুর খবর মিলেছে। এ ছাড়াও মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জন শিশু রয়েছে বলে খবর। গত ১ ফেব্রুয়ারি রাজনীতিকদের বন্দি করে সেনা দেশের দখল নেওয়ার পর, গত দু’মাসে সেনার গুলিতে প্রায় ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন মায়ানমারে। এর মধ্যে শনিবারই সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল।
সেনাশাসনের বিরুদ্ধে গত দু’মাস ধরেই বিক্ষোভে উত্তপ্ত মায়ানমার। শনিবার সশস্ত্র বাহিনীর সাফল্য উদ্যাপনে যখন ব্যস্ত সেনা, সেই সময় ইয়াঙ্গন, মান্দালয় এবং আরও বেশ কিছু শহরে পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দেয় সেনা। ঘোষণা করা হয়, পিছু না হটলে মাথায় অথবা পিছন থেকে গুলি করে মারা হবে তাঁদের। কিন্তু সেনার হুঙ্কারেও পিছু হটেননি আন্দোলনকারীরা। তাতেই নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে সেনা।
স্থানীয় সূত্রে যে খবর পাওয়া গিয়েছে, তা অনুযায়ী, শুধুমাত্র মান্দালয়ের রাস্তাতেই কমপক্ষে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেনার গুলিতে ৫ বছরের এক বালকেরও প্রাণ গিয়েছে সেখানে। ইয়াঙ্গনে অনূর্ধ্ব ২১ এক ফুটবল খেলোয়াড়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সকাল থেকে কমপক্ষে ৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে। শান প্রদেশের উত্তরে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়ার উপরও সেনা গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।