গুয়াহাটি, ২৬ মার্চ (হি.স.) : আগামীকাল শনিবার (২৭ মার্চ) ২১-এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর কয়েক ঘণ্টা৷ শনিবার সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্ৰহণ প্ৰক্ৰিয়া। রাজ্য বিধানসভা নিৰ্বাচন অবাধ ও নির্ঝঞ্ঝাট রখতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে ২ লক্ষ ৪১ হাজার ২৬৯ জন রাজ্য পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা ১২টি জেলার ৪৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে।
অসম পুলিশের সদর দফতর সূত্রের খবর, সমগ্ৰ রাজ্যে নিৰ্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে ইতিমধ্যে নিয়োগ করা হয়েছে ২ লক্ষ ৪১ হাজার ২৬৯ জন নিরাপত্তারক্ষী৷ প্ৰত্যেক ভোটগ্ৰহণ কেন্দ্ৰে একজন করে সশস্ত্ৰ জওয়ান এবং আরও চারজন করে রাজ্য পুলিশের জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে৷
২৭ মাৰ্চ প্ৰথম দফা নিৰ্বাচনের আগের দিন দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠেয় অসম বিধানসভা নিৰ্বাচনের প্ৰচারে রাজ্যের আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তোলা হয়েছে৷ পঞ্চদশ অসম বিধানসভার নিৰ্বাচনকে সুচারুরূপে এবং শান্তিপূৰ্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য ইতিমধ্যে নিৰ্বাচন কমিশনের নিৰ্দেশনা অনুসারে প্রস্তুত অসম পুলিশ।
এদিকে রাজ্যের যুগ্ম নির্বাচন আধিকারিক রাহুলচন্দ্র দাস জানান, প্রথম দফায় ১২টি জেলার ৪৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় নিৰ্বাচনে ৮১,০৯,৮১৫ জন ভোটার মোট ২৬৪ জন প্ৰাৰ্থীর ভাগ্য নিৰ্ণয় করবেন। তিনি জানান, ভোটারদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৩,৫৩০টি ভোটগ্ৰহণ কেন্দ্ৰ৷ জানান, নিৰ্বাচনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সুরক্ষার ক্ষেত্ৰে বিশেষ সৰ্তকতা অবলম্বন করেছে অসম পুলিশ৷ ভোটারদের নিৰ্ভয়ে ভোটদান করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ একইসঙ্গে সোশাল মিডিয়ার উপরও পুলিশ তীক্ষ্ণ নজর রাখছে, জানান যুগ্ম নির্বাচন আধিকারিক রাহুল দাস। তিনি জানান, এবারের ভোট পর্ব চলবে সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনে। সে অনুযায়ী প্রিসাইডিং অফিসারদের পর্যাপ্ত পরিমাণের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদি যোগান দেওয়া হয়েছে। সকল ভোটারকে মুখে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, প্ৰথম দফায় ৪৭টি কেন্দ্রে যে সকল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে সেগুলো যথাক্রমে —শোণিতপুর জেলার ৭১ নম্বর ঢেকিয়াজুলি, ৭২ নম্বর বরসলা, ৭৩ নম্বর তেজপুর, ৭৪ নম্বর রাঙাপাড়া, ৭৫ নম্বর সতিয়া। বিশ্বনাথ জেলার ৭৬ নম্বর বিশ্বনাথ, ৭৭ নম্বর বিহালি, ৭৮ নম্বর গহপুর। নগাঁও জেলার ৮৩ নম্বর ধিং, ৮৪ নম্বর বটদ্রবা, ৮৫ নম্বর রূপহিহাট, ৮৮ নম্বর সামাগুড়ি, ৮৯ নম্বর কলিয়াবর।গোলাঘাট জেলার ৯৩ বোকাখাত, ৯৪ নম্বর সরুপথার, ৯৫ গোলাঘাট, ৯৬ খুমটাই, ৯৭ দেড়গাঁও (তফশিলি জাতি সংরক্ষিত)।যোরহাট জেলার ৯৮ নম্বর যোরহাট।মাজুলি জেলার ৯৯ নম্বর মাজুলি (তফশিলি জনজাতি সংরক্ষিত), ১০০ নম্বর তিতাবর, ১০১ নম্বর মরিয়নি, ১০২ নম্বর টিয়ক।শিবসাগর জেলার ১০৩ নম্বর আমগুড়ি, ১০৪ নম্বর নাজিরা।চড়াইদেও জেলার ১০৫ নম্বর মাহমরা, ১০৬ নম্বর সোনারি।শিবসাগর জেলার ১০৭ নম্বর থাওড়া, ১০৮ নম্বর শিবসাগর।লখিমপুর জেলার ১০৯ বিহপুরিয়া, ১১০ নম্বর নাওবৈচা, ১১১ নম্বর লখিমপুর, ১১২ নম্বর ঢকুয়াখানা।ধেমাজি জেলার ১১৩ নম্বর ধেমাজি (তফশিলি জনজাতি সংরক্ষিত), ১১৪ নম্বর জোনাই (তফশিলি জনজাতি সংরক্ষিত)।ডিব্রুগড় জেলার ১১৫ নম্বর মরান, ১১৬ নম্বর ডিব্রুগড়, ১১৭ নম্বর লাহোয়াল, ১১৮ নম্বর দুলিয়াজান, ১১৯ নম্বর টিংখং, ১২০ নম্বর নাহরকাটিয়া, ১২১ নম্বর চাবুয়া।তিনসুকিয়া জেলার ১২২ নম্বর তিনসুকিয়া, ১২৩ নম্বর ডিগবয়, ১২৪ নম্বর মার্ঘেরিটা, ১২৫ নম্বর ডুমডুমা, ১২৬ নম্বর শদিয়া।