নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মার্চ৷৷ সাংবাদিক বেশে ঠিকাদার আক্রান্ত হয়েছেন কাঞ্চনপুরে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র বিভিন্ন মহলে জোর আলোচনা চলছে৷ এই ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আজ দুপুর ১.৩০টা নাগাদ কাঞ্চনপুর থানার ওসি এক হোয়াটস্যাপ ম্যাসেজে জানতে পারেন যে, জনৈক বিকাশ দাস কাঞ্চনপুর থানার অন্তর্গত পূর্ব শান্তিপুর এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ বিকাশ দাস কাঞ্চনপুর থানাধীন গৌরীশংকরপুরের বাসিন্দা দিলীপ দাসের পুত্র৷ তিনি পেশায় স্যন্দন পত্রিকার একজন রিপোর্টার ও একজন ঠিকাদার৷ খবরে প্রকাশ যে, আক্রমণ থেকে বাঁচতে তিনি পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে পড়েন৷
ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই কাঞ্চনপুর থানা থেকে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে যায় এবং তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ তিনি কপালে আঘাত পান এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ধর্মনগরের জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ তার ভাই দ্বিজেন দাস কাঞ্চনপুর থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন যে, বিকাশ দাস শান্তিপুর এডিসি ভিলেজে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তিনি কিছু অপরিচিত দুষ্ক’তিকারী দ্বারা আক্রান্ত হন৷ সেই অনুযায়ী কাঞ্চনপুর থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত হয়৷
প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যায় যে, বিকাশ দাস কাঞ্চনপুর ডিডব্লিউএস দপ্তরের এসডিও-কে জানিয়ে শান্তিপুরে তার পাম্প হাউস নির্মাণের সাইটে যান৷ এই নির্মাণ কাজটির আর্থিক মূল্য প্রায় ২১ লক্ষ টাকা৷ সেখানে তিনি লক্ষ্য করেন যে, সেখান থেকে তার ইটগুলি চুরি হয়ে গেছে এবং দেখতে পান যে, পাশের জমিতে গ্রামের চেয়ারম্যান শ্রী শিমূল চাকমার বাড়িতে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে৷ তখন তিনি সেখানে গিয়ে দাবি করেন যে, তার চুরি হয়ে যাওয়া ইটগুলি এই বিল্ডিং নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে৷ এই প্রক্রিয়ায় তিনি সেই বাড়িতে ঢুকে এই ব্যাপারে শিমূল চাকমার স্ত্রী সুুচিন্তা চাকমার সাথে তীব কলহে লিপ্ত হয়ে পড়েন৷
অন্যদিকে, মহিলাও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, বিকাশ দাস বলপূর্বক তার হাত ধরে টানেন, শরীরে হাত লাগান এবং যৌন আক্রমণের চেষ্টা করেন৷ এই টানা হেঁচড়াতে মহিলার শাঁখা ভেঙ্গে যায়৷ যখন বাড়ির অন্যান্য মহিলারা রুখে দাঁড়ায় তখন বিকাশ দাস পালিয়ে যান৷ মহিলার বিবৃতি অনুযায়ী বিকাশ দাস পড়ে গিয়ে আহত হন৷ মহিলার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে বিকাশ দাসের বিরুদ্ধে৷ বিকাশ দাসের গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও পরে তার গাড়িটিকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে৷ রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানিয়েছেন৷
এদিকে, বিকাশ দাস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, আগরতলা প্রেস ক্লাব, ত্রিপুরা জার্নালিস্টস ইউনিয়ন এবং ত্রিপুরা ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন৷