নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২২ মার্চ৷৷ বিএসএফ ও কদমতলা পুলিশের চাপে পড়ে অবশেষে ৭২ ঘন্টা পর বাংলাদেশ প্রশাসন ভারত সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত গরু চোর বাপ্পা মিয়াকে সমঝে নেয়৷ গত ২০ মার্চ শনিবার মাঝরাতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতার কেটে ভারতে গরু চুরি করতে এসে সীমান্ত বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু ঘটেছিল কুখ্যাত চোর বাপ্পা মিয়ার৷
বিএসএফ ও কদমতলা থানার সকল আইনি প্রক্রিয়ার পর আজ কদমতলা থানাধীন ইন্দো-বাংলা সীমান্তের ১৬৬ নং ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ ক্যাম্পের আওতাধীন ইয়াকুব নগর সীমান্ত দিয়ে মৃতদেহটি বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷উপস্থিত ছিলেন ১৬৬ নং বিএসএফ এর শীর্ষ আধিকারিক, কদমতলা থানার পুলিশ, বাংলাদেশের জুরি থানার পুলিশ ও বিজিবি৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,গত ২০ মার্চ শনিবার মাঝরাতে উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের ১৬৬ নং ইয়াকুব নগর বিএসএফ ক্যাম্পের ১৮২২/২৪ এস নং পিলারের মাঝখানে বাংলাদেশের একটি চোরের দল সীমান্তের কাঁটাতার কেটে ভারতে প্রবেশ করে৷ ভারতে প্রবেশ করে গরু চুরি করতে আসলে এলাকাবাসী টের পেয়ে হই হুল্লোর শুরু করে৷তৎক্ষণাৎ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা পি এ গান দিয়ে এক পাচারকারীকে গুলি করেন৷ ততক্ষণে দলের অন্যান্য পাচারকারীরা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও গুলিবিদ্ধ এক পাচারকারী ভারত সীমান্তের মাটিতে লুটিয়ে পড়ে৷ ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিক ও কদমতলা থানার পুলিশ৷ মৃত পাচারকারীর কাছ থেকে একটি তার কাটার কাঁটার, তরোয়াল, দা সহ অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়৷ তাছাড়া জানা যায় মৃত পাচারকারী বাংলাদেশের জুরি থানার অন্তর্গত পূর্ব বটুলি গ্রামের বাপ্পা মিয়া (৩২) পিতা আব্দুল রুফ৷দীর্ঘদিন ধরে সে অবৈধ পাচার বাণিজ্যের বাদশা বলে পরিচিত ছিল৷ তারপর কদমতলা থানার পুলিশ মৃতদেহটিকে সীমান্ত থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে৷কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বাংলাদেশ প্রশাসন মৃতদেহটি নেওয়ার জন্য কোন তৎপরতা দেখায়নি৷
তা নিয়ে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশের জুড়ি থানার পুলিশ ও বিজিবিকে দফায় দফায় চিঠি পাঠায়৷ অবশেষে ৭২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ প্রশাসন কুখ্যাত পাচারকারী বাপ্পা মিয়ার মৃতদেহ সমঝে নেওয়ার সম্মতি জানায়৷ তারপর আজ বিকেল বেলা কদমতলা থানাধীন ১৬৬ নং বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের ইয়াকুব নগরসীত ইন্দো-বাংলা সীমান্ত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী ও পুলিশ মৃতদেহটি মৃত বাপ্পা মিয়ার পিতা অব্দুল রুফের হাতে সমঝে দেয় বাংলাদেশ প্রশাসন৷
তবে দীর্ঘদিন যাবৎ কদমতলা থানাধীন ইন্দো-বাংলা সীমান্তে ত্রাস সৃষ্টিকারী কুখ্যাত বাপ্পা মিয়ার মৃত্যুর পর সীমান্তের স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে৷