রাজ্যে কোনও উগ্রপন্থী নেই, এনএলএফটি শীর্ষ নেতৃত্ব পরিমল দেববর্মার গ্রেফতারের সাফল্য বর্ণনা করে জানালেন ডিজিপি

আগরতলা, ১৩ মার্চ (হি.স.) : ত্রিপুরায় কোনও উগ্রপন্থী নেই৷ তেমনি জনজাতি অংশের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছেন, উগ্রপন্থায় কোনও সমাধান হবে না৷ তাই নতুন সদস্য তৈরি করতে পারছে না এনএলএফটি বিশ্বমোহন (বিএম) এবং পরিমল দেববর্মা (পিডি) গোষ্ঠী৷ আজ ত্রিপুরাবাসীকে নিশ্চিন্তে থাকার জন্য এভাবেই অভয় দিলেন ত্রিপুরা পুলিশের মহা নির্দেশক (ডিজিপি) ভি এস যাদব৷ তবে, এডিসি নির্বাচন নিয়ে এনএলএফটি পিডি গোষ্ঠীর ভীষণ আগ্রহ রয়েছে, তার অনেক প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ শুধু তা-ই নয়, ত্রিপুরায় জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের ওই বৈরি নেতাদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন৷ আজ এনএলএফটি-র শীর্ষ উগ্রপন্থী নেতা পরিমল দেববর্মার গ্রেফতারে সাফল্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে এভাবেই তিনি খোলামেলা আলোচনা করেছেন৷


ডিজিপি বলেন, এনএলএফটি পরিমল দেববর্মা সহ বেশ কয়েকজন উগ্রপন্থী বিশ্বমোহন গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ২০১৪ সালে আত্মসমর্পণ করেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন৷ কিন্তু ২০১৭ সালে পরিমল দেববর্মা একটি খুনের মামলায় জড়িয়ে যায় এবং ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়৷ এর পর সে আলাদা গোষ্ঠী তৈরি করে এবং উগ্রপন্থী কার্যকলাপ চালাতে থাকে৷ ডিজিপি-র কথায়, ২০২০ সালে তাদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে৷ এ বছর এখন পর্যন্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, গতকাল ওই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ঠিকেদারকে চাঁদার নোটিশ দেওয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে৷


ডিজিপি জানান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের খবর অনুযায়ী পরিমল দেববর্মা আইজলে রয়েছে এমনটা আমরা জানতে পারি৷ তাই, মিজোরাম পুলিশের ডিজি-র কথা বলে তাকে গ্রেফতার করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম৷ তিনি বলেন, মিজোরাম পুলিশ তাকে আইজল থেকে গ্রেফতারের পর আজ আদালতে সোপর্দ করেছে৷ ত্রিপুরা পুলিশের একটি টিম আগামীকাল তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানাবে৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পরিমল দেববর্মার ট্রানজিট রিমান্ড আদালত মঞ্জুর করবে৷


ডিজিপি-র কথায়, আসন্ন এডিসি নির্বাচনে ওই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর ভীষণ আগ্রহ ছিল এমনটা প্রমাণ মিলেছে৷ তাছাড়া, জাতীয় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে এমনটাও খবর পাওয়া গেছে৷ তবে, পরিমল দেববর্মাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে, ত্রিপুরাবাসীর জন্য তা ভীষণ স্বস্তির বিষয়৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় জনজাতি অংশের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছেন উগ্রপন্থায় কোনও সমাধান সম্ভব নয়৷ তাই, যুব প্রজন্ম উগ্রপন্থী দলে যোগ দিক তা কেউ চাইছেন না৷ এমন-কি, উগ্রপন্থী দলে নতুন করে কেউ যোগ দিচ্ছেন না৷ তিনি জোর গলায় দাবি করেন, ত্রিপুরায় কোনও উগ্রপন্থী নেই৷ তবে, সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে উগ্রপন্থী গোষ্ঠী গোপন ডেরায় আশ্রয় নিয়ে আছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *