নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ মার্চ৷৷ রাজধানী আগরতলা শহরের পুলিশ হেডকোর্য়াটারে কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক টিএসআর জওয়ানের৷ প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা৷ তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তথ্য তল্লাসি করেছে ফরেন্সিক টিম৷ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা পৌণে আটটা নাগাদ৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ টি এস আর জওয়ানের নাম বিজন কর্মকার৷ বয়স ৩৮ বছর৷ প্রথম বেঁটেলিয়ানে কর্মরত ছিলেন তিনি৷ ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন জওয়ানের আত্মীয় স্বজন৷ এটি কি আত্মহত্যার ঘটনা, নাকি অন্যকিছু, তা নিয়েই এখন চলছে অবিরাম জল্পনা৷
ঘটনাকে ঘিরে মৃত টি এস আর জওয়ানের এক আত্মীয় বলেন, কেন যে বিজু এমন ভাবে নিজের রাইফেল দিয়ে আত্মঘাতী হলো সেটা তিনিও আন্দাজ করতে পারছেন না৷ পারিবারিক কোন ঝামেলা ছিল না৷ ওই আত্মীয় আরও জানিয়েছেন গত নভেম্বরে তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন৷ গতকাল তাঁর শ্বশুর প্রয়াত হয়েছেন৷ বিজন কর্মকারের বাড়ি ফটিকারের সায়দারবাড়িতে৷ আগরতলায় সে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে এডি নগর সাত নম্বর রোডে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন৷ স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও তেমন কোন মনমালিন্য নেই বলে ওই নিকটাত্মীয়রে দাবি৷
এদিকে, সদরের এসডিপিও জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান এটি আত্মহত্যারই ঘটনা৷ তবে কেন এই আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এসডিপিও আরও জানিয়েছেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারী থেকে বিজন কর্মকার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে দায়িত্ব পালন করছেন৷ এর আগে তিনি গকুলনগরস্থিত টিএসআর প্রথম ব্যাটেলিয়ানের কার্য্যালয়ে কর্মরত ছিলেন৷ এদিন, তিনি সার্ভিস রাইফেল এসএলআর নিয়েই কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন৷
একটি গুলির খোল মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ পশ্চিম থানার পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ খবর পেয়ে পুলিশ হেডকোয়র্টারে ছুটে যান নিহতের স্ত্রী সহ আত্মীয় পরিজনরা৷ সন্ধ্যারাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সার্ভিস রাইফেলের বুলেটে টিএসআর জওয়ানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়৷
যদিও, নিজের রাইফেল দিয়ে টি এস আর জওয়ানদের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা নতুন নয় রাজ্যে৷ এর পূর্বে ও এমন কয়েকটি ঘটনার সাক্ষি রয়েছে রাজ্যের জনগণ৷ এতদিন তো হত টি এস আরের বিভিন্ন ক্যাম্পে৷ এবার রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তরেই ঘটে গেল এমন ঘটনা৷ যাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পুলিশের সদর দপ্তরে৷