মুম্বই, ১ মার্চ (হি.স.) : বর্ষীয়ান গীতিকার, কবি জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানির মামলায় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের নামে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ ছিল মুম্বইয়ের আদালত। সোমবার এই নির্দেশ দিল অন্ধেরির এক নিম্ন আদালত।আজ, আদালতে হাজিরার কথা ছিল অভিনেত্রীর । তবে অনুপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা। এর জেরেই তাঁর নামে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৬ মার্চ ।
প্রসঙ্গত, এক সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলের মঞ্চে জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্যের জন্য গত বছর নভেম্বর মাসে কঙ্গনার বিরুদ্ধে অন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বর্ষীয়ান শিল্পী। গত ৩রা ডিসেম্বর এই মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দেন জাভেদ আখতার। আদালতের তরফে জুহু পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে।পুলিশ, গত মাসের ১ তারিখ আদালতে রিপোর্ট জমা দেয়।
গত বছর জুলাই মাসে কঙ্গনা এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমে জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে, হৃত্বিক-কঙ্গনা বিবাদের সময় নাকি নিজেদের দীর্ঘদিনের বন্ধু রোশন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে কঙ্গনাকে ‘শাসিয়েছিলেন’ জাভেদ আখতার। তিনি পরিষ্কার ভাষায় কঙ্গনাকে বলেছিলেন হৃত্বিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে, না হলে কঙ্গনার কাছে আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না।
এরপর বিষয়টিতে তাঁর মানহানি হয়েছে বলে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা করেন বর্ষীয়ান গীতিকার, কবি জাভেদ আখতার ।তাঁর আইনজীবী নীরঞ্জন মুন্দারগি কঙ্গনার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ নম্বর (মানহানি) ও ৫০০ নম্বর (মানহানির শাস্তি) ধারায় মামলা দায়ের করেন। তিনি মামলায় ব্যানে লিখেছেন যে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামালায় কোনওরকম কারণ ছাড়াই অভিযোগকারীর (জাভেদ আখতার) নাম জড়িয়েছেন কঙ্গনা । সেখানে এও উল্লেখ করা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও কয়েক লক্ষ মানুষ ওই ভিডিয়ো দেখেছেন এবং অনান্য সংবাদ মাধ্যমও ওই ভিডিয়োর বক্তব্য নিয়ে খবর করেছে যা তাঁর জন্য অপমানজনক এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে তা মানহানিকর।
ওই মামলায় অন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ১লা ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল কঙ্গনার নামে। তাঁকে আজ সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল আদালতে। তবে অনুপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা। অভিনেত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। আগামী ২৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।