কনপুই সীমান্তে নির্মাণকাজে বাধা, চাপা উত্তেজনা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক, দাবি ত্রিপুরা ও মিজোরামের

আগরতলা, ২৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.)৷৷ সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় নির্মাণকাজে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ঘটনায় ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্তবর্তী কনপুই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷ তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ উত্তর ত্রিপুরার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর কথায়, বিতর্কিত জমিতে বন দফতরের চেকপোস্ট নির্মাণকে বাধা দিয়েছে মিজোরাম৷ এদিকে, মিজোরামের মামিতের জেলাশাসক লালরুজামা বলেন, আমাদের উভয়কে সীমানাকে সম্মান দেওয়া উচিত৷ কনপুই মিজোরামের অংশ, সেখানে নির্মাণকাজে বাধা দেওয়া হয়েছে৷


জম্পুই এলাকায় ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে৷ ত্রিপুরা সরকার কেন্দ্রের কাছে পুনরায় সীমানা নির্ধারণে সমীক্ষা করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে৷ সম্প্রতি, ত্রিপুরার বন দফতর জম্পুই পাহাড়ের কনপুই সীমান্তে চেকপোস্ট নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছিল৷ তাতে মিজোরাম বাধা দিয়েছে৷

এ-বিষয়ে মামিতের জেলাশাসক লালরুজামা বলেন, ত্রিপুরার বন দফতর কনপুই সীমান্তে একটি গেট নির্মাণ করতে চেয়েছিল৷ আমরা তাতে অনুমতি দেইনি৷ তাঁর কথায়, আমাদের একে অন্যের সীমানায় নির্মাণ কাজে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়৷ কনপুইয়ে আমাদের সীমানায় নির্মাণ কাজ হয়েছিল, তাই বাধা দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর সাফ কথা, উভয় রাজ্য একে-অপরকে শ্রদ্ধা করা উচিত৷ কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে৷ তিনি বলেন, সম্প্রতি দুই রাজ্যের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে উত্তর ত্রিপুরার জেলাশাসকের সাথে আলোচনা করেছি৷ তাঁর মতে, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক৷ কিন্তু সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে৷ তাই, বিতর্কিত সীমানায় কোনও ধরণের নির্মাণকাজ থেকে বিরত থাকাই উচিত আমাদের৷


উত্তর ত্রিপুরার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী বলেন, কনপুই সীমান্তে এখন কোনও সমস্যা নেই৷ বিতর্কিত সীমানায় বন দফতর চেকপোস্ট বানাতে চেয়েছিল৷ মিজোরাম বাধা দিয়েছে৷ এতে উত্তেজনার কোনও ঘটনা ঘটেনি৷