নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২০ ফেব্রুয়ারি৷৷ তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার ইচারবিল এলাকায় ফাঁসিতে আত্মহত্যা করল এক যুবক৷ তার নাম সুজিত দেবনাথ৷ রাজ্যে আত্মহত্যার ঘটনা দিনের- পর- দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে৷ গত ভোররাতে তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার ইচারবিলএলাকার বাসিন্দা সুবল দেবনাথ এর ২৬ বছর বয়সী ছেলে সুজিত দেবনাথ নিজের ঘরেই ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে৷
জানা যায় সুবল বাবু এ দিন রাতে বাড়িতে ছিলেন না৷ কর্মসূত্রে তিনি কল্যাণপুরে থাকেন৷ স্ত্রী পুত্র এবং পুত্রবধূ বাড়িতে থাকেন৷অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল রাতেও স্ত্রী পুত্র এবং পুত্রবধূ খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন৷ হঠাৎ সকলের অলক্ষ্যে পুত্র সুজিত দেবনাথ নিজের ঘরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে৷ বিষয়টি টের পেয়ে সুজিতের স্ত্রী ও মা জেগে ওঠেন৷ ঘুম থেকে উঠে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে ফাঁসির দড়ি কেটে নিচে নামিয়ে ফেলেন৷ তখনো তার দেহে প্রাণ ছিল বলে তাদের দাবি৷ তারা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন৷ কিন্তু কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে আসেনি৷ শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করেন পরিবারের লোকজনরা৷তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ব্যস্ত থাকায় কল্যাণপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্স ছুটে আসে৷অপেক্ষাকৃত কিছুটা দূর থেকে এম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় সুজিতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক দেরি হয়ে যায়৷
অ্যাম্বুলেন্স এবং পুলিশ তাদের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছলেও পাড়া-প্রতিবেশীরা সুজিতের দেহ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিতে এগিয়ে আসেননি৷প্রতিবেশীদের বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সুজিতের দেহ অ্যাম্বুলেন্সের তুলে না দেওয়ায় পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক কোনক্রমে সুজিতের দেহ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে তেলিয়ামুড়া হাসপাতল নিয়ে যায়৷ তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ নিজ ঘরে ফাঁসিতে সুজিত দেবনাথ নামে ওই যুবকের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে পরিবারে কোন ধরনের ঝগড়াঝাঁটি ছিল না৷কেন সুজিত হঠাৎ ফাঁসিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তা নিয়ে রীতিমতো দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে৷তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ এ ব্যাপারে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু জনিত মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷