কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে কৃষক সভার রাজভবন অভিযান

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জানুয়ারি৷৷ কৃষি আইন নিয়ে গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও বিরোধি বাম কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে দেশপ্রেম দিবস হিসেবে পালন করা হয়৷ এদিন অরিয়েন্ট চৌমুহনিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে রাজভবন অভিযান করা হয়৷
রাজভবন অভিযান হয় সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটি, সারা ভারত কৃষক সমন্বয় কমিটি রাজ্য কমিটির যৌথ উদ্যোগে৷ মিছিলটি বিদুর কর্তা চৌমুহনি, কর্নেল চৌমুহনি, রাধানগর সহ বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তায় গোর্খাবস্তি সংলগ্ণ সার্কিট হাউস এলাকায় পুলিশ বেরিকেট দিয়ে আটকে দেয় মিছিলটি৷


অবশেষে মিছিলে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় বসে পড়ে৷ সেখানে একটি বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত করা হয়৷ সভায় উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য সভাপতি অঘোর দেববর্মা, সম্পাদক পবিত্র কর, বিরোধী দলের উপনেতা বাদল চৌধুরি উপস্থিত ছিলেন৷ দেশের কৃষকরা নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অবিচল৷ তীব্র শীতের মধ্যেও দীর্ঘ ৫৭ দিন ধরে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলন করে আসছে৷ আন্দোলনে আসি দেড় শতাধিক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এতটাই মানবতাহীন ভারতবর্ষের কৃষকদের আন্দোলন মানতে চাইছে না৷

পুঁজিপতিদের স্বার্থে নয়া আইন করে দিয়েছে৷সরকার চাইছে কৃষকদের আইন পুঁজিপতিদের দ্বারা পরিচালনা করা হোক৷ এর দ্বারা স্পষ্ট মোদি সরকার কৃষকদের ফসল তৈরি করার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নিতে চাইছে৷ পূর্বের সরকারও কৃষকদের সাথে কোনো কাজ করিনি৷ বর্তমান সরকারও কৃষকদের বিপদ ডেকে আনছে৷ গত ১৫ বছরে দেশে ৫ লক্ষাধিক কৃষকদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে৷ আর বর্তমানের সর্বনাশা আইন কৃষকদের আরো বড় বিপদ ডেকে আনবে৷ সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর এমনটা আশঙ্কা ব্যক্ত করেন সভায়৷
কৃষকদের স্বার্থে আগামী ২৬ জানুয়ারি কৃষক সংগঠনগুলির রাজ্যেও বটতলা থেকে কামান চৌমুহনি পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ কারণ বিজেপি মানে স্বৈরাচার৷ বিজেপি মানে মানবতাহীন৷ বিজেপি মানে নির্দয়৷ রাজ্যের বিপ্লব দেবের সরকারও একইভাবে মনুষ্যত্বহীন বলে সরকারকে কাঠ গড়ায় তুলেন তিনি৷ এদিন দেশপ্রেম উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার, আহ্বায়ক বিজন ধর সহ অন্যান্য নেতৃত্ব৷