নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৯ জানুয়ারি৷৷ প্রত্যন্ত পাহাড়ী জনপদে বসবাসকারী গিরি বাসীরা কেমন রয়েছেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা কতটুকু উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেছে তা ঐ সকল এলাকা গুলিতে পা না রাখলে বোঝা একেবারেই দায়৷এমনই এক চিত্র উঠে এলো তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের রামকৃষ্ণপুর এডিসি ভিলেজের ১৮ মুড়া পাহাড় এর ২৯ মাইল নমনদ্বীপ পাড়া থেকে৷ বর্তমানে ওই পাড়াতে ৩৫ টি পরিবারের বসবাস৷প্রত্যেকটি পরিবার বনের লতাপাতা সহ লাকড়ি বিক্রির পাশাপাশি জুম চাষের উপর নির্ভর করে সংসার প্রতি পালন করে থাকে৷
তবে ওই এলাকার অধিবাসীরা অন্যান্য সমস্যার কথা না বলে থাকলেও যোগাযোগের ব্যবস্থা কেবলমাত্র অন্তরায়,সেটাই তুলে ধরেন প্রতিবেদক এর কাছে৷দীর্ঘ কয়েক দশক পূর্বে এলাকা বাসিদের দাবি অনুসারে ইটের সলিং প্রশাসনের উদ্যোগের তৈরী করা হয়েছিল৷কিন্তু কয়েক দিন কাটাতে না কাটাতেই ইটের সলিং চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরেছে৷ফলে বর্ষাকালে চলাচল করতে গিয়ে এলাকাবাসীরা খুবই মরণফাঁদে মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে৷বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই অসুবিধা হচ্ছে৷এলাকাবাসীরা আরো জানান নিজেদের উদ্যোগে অস্থায়ী কাঠের সেতু করা হয়ে থাকলেও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে৷
সেই সেতু দিয়ে সুকল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা সুকলে যাতায়াত করে সুকলে আসা যাওয়া করতে হয়৷আর সেই সেতু দিয়ে পারাপারের সময় দুর্ঘটনা কবলে পড়তে হচ্ছে৷বিশেষ করে বসার সময় অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা কাঠের সেতুটি অস্তিত্ব হারিয়ে যাই৷ এলাকাবাসীদের মধ্য থেকে দাবি উঠেছে প্রশাসনিক তরফে যেন ভগ্ণ যাতায়াতের ব্যবস্থা পূর্ণ সংস্কারে৷এখন দেখার বিষয় প্রশাসনিক তরফে যাতায়াতের ব্যবস্থা ভূমিকা গ্রহণ করেন সংস্কারের জন্য কতটুকু ভূমিকা গ্রহণ করেন৷