নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জানুয়ারি৷৷ ত্রিপুরা নেট, স্লেট এবং পিএইচডি ফোরামের পক্ষ থেকে সোমবার আগরতলায় শিক্ষাভবনে শিক্ষা অধিকর্তার কাছে ১০ দফা দাবিতে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে৷দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করা,শূন্যপদ পূরণের জন্য শিক্ষা দপ্তর কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সাবলীল করে তোলা৷১০ দফা দাবির ভিত্তিতে ত্রিপুরা নেট সিলেট এবং পিএইচডি ফোরামের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধিদল সোমবার শিক্ষা ভবনে গিয়ে শিক্ষা অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি তুলে দেন৷ডেপুটেশন প্রদান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন বর্তমানে এসিস্ট্যান্ট পদে নিযুক্ত জন্য ১০০০ পদপ্রার্থী রয়েছেন৷
শিক্ষা দপ্তর তাদেরকে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না৷ গত ১৩ বছর ধরে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে কোন নিযুক্তি নেই ফলে তারা অভিযোগ করেন৷ ফলে চাকরিপ্রার্থীরা বছরের-পর-বছর উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন৷তারা আরো জানান উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে সংরক্ষিত পদের জন্য দুবার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে৷কিন্তু সাধারণ প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য কোন ধরনের ইন্টারভিউ কল করা হয়নি৷ফলে সাধারণ প্রার্থীরা নিযুক্তির কোন সুযোগ পাচ্ছেন না৷ এখনো ২২১টি শূন্য পদ রয়েছে বলে তারা জানান৷অবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য উচ্চশিক্ষা অধিকর্তার কাছে তারা দাবি জানিয়েছেন৷উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তারা পরবর্তী পর্যায়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন৷ফোরামের নেতৃবৃন্দ আরো জানান পরবর্তী পর্যায়ে তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন৷তারা আশা ব্যক্ত করে বলেন রাজ্য সরকার এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তর বিষয়টি বিবেচনা করে অতি সত্বর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷
সরকার এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তারা আন্দোলনের পথে অগ্রসর হতে বাধ্য হবেন বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন৷উল্লেখ্য রাজ্যের কলেজগুলিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এর অভাবে পঠন-পাঠন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে৷ শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে কোন ধরনের নিয়োগ করা হচ্ছে না৷উপযুক্ত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও শুন্য পদে নিয়োগ না করার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে সেই প্রশ্ণও তুলেছেন তারা৷রাজ্য সরকার যেখানে উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে প্রয়াসী বলে দাবি করে থাকে সেক্ত্রে উচ্চশিক্ষায় অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে নিযুক্ত দেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্ণ তাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে৷অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে নিযুক্ত বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও দ্বিচারিতার আশ্রয় নিয়েছে বলেও তারা অভিযোগ এনেছেন৷কেননা একদিকে বলা হচ্ছে শূন্য পদ রয়েছে অথচ অন্যদিকে শুন্য পদে নিয়োগ করা হচ্ছে না৷উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নের তাগিদেই অবিলম্বে অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার পদে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা৷

