সোনামুড়া সীমান্তের বাসিন্দারা নানা সমস্যায়, নীরব দর্শক প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ জানুয়ারি৷৷ সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহুকুমার শোভাপুর সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণ নানা সমস্যায় জর্জরিত৷সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ফলে বহু পরিবার কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে বসবাস করছেন৷ সীমান্তের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে চাষাবাদ করেই তারা জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন৷
কাঁটাতারের বেড়ার ওপাড়ে বসবাসকারী জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে কিংবা তাদেরকে কাঁটাতারের বেড়ার এপাড়ে এনে পুনর্বাসন দেওয়ার তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সরকার ও প্রশাসন৷কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে যেসব পরিবার বসবাস করছে তাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার জন্য কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে এসে সুকলে পড়াশোনা করছে৷


আবার অনেক পরিবার কাঁটাতারের বেড়ার এপারে থাকলেও চাষাবাদের তাগিদে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে যেতে বাধ্য হচ্ছে৷ শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ যাবতীয় প্রয়োজনে তাদেরকে কাঁটাতারের বেড়া পারাপার হতে হয়৷কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাদেরকে কাঁটাতারের বেড়া পারাপার হতে দিচ্ছেনা সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ জওয়ানরা৷এনিয়ে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে বিএসএফের প্রায় সময়ই বিবাদ বাধে৷ সোনামুড়া শোভাপুর সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এক সুকলছাত্রী কাঁটাতারের বেড়া পারাপার হওয়ার চেষ্টা করলে বিএসএফ জওয়ানরা তাকে যেতে দেয়নি৷

বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে বিএসএফের বাকবিতণ্ডা হয়৷ এর ফলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়৷শেষ পর্যন্ত ঘটনার খবর পেয়ে সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা ১৩৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট ছুটে এসে ক্ষুব্দ জনতার সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন৷
কমান্ডেন্ট এর সঙ্গে আলোচনার পর সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়৷স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বিএসএফের কমান্ড্যান্ট তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিএসএফের তরফে তেমন কোনো কঠোর মনোভাব দেখানো হবে না৷চিকিৎসা শিক্ষা সহ জরুরী প্রয়োজনে যাতে এলাকার মানুষজন সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া পারাপার হতে পারেন সে জন্য বিএসএফ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷