নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ ডিসেম্বর৷৷ সরকার প্রধানের সমস্ত আইনকানুনের ক্ষমতাকে দূরে সরিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে দেখিয়ে দিলেন আবারো স্বদলীয় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন৷ বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন মন্ত্রিত্ব থাকাকালীন সময়ে আগরতলা ক্যান্সার হাসপাতালকে অটল বিহারী বাজপেয়ী নামে নামাকরন করা হয়েছিল৷ কিন্তু সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দীর্ঘ তিন বছরেও রাজ্য সরকার ভারত রত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর মর্মর মূর্তি বসানোর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷
কিন্তু বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন শুক্রবার ২৫ ডিসেম্বর ভারত রত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর মর্মর মূর্তি উন্মোচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বিধায়ক শ্রী বর্মন৷ কিন্তু এ নিয়ে দেখা দেয় আইনি বেড়াজাল৷ মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার৷ বানচাল করে দেওয়া হয় অটল বিহারি বাজপেয়ীর মর্মর মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠান৷ কিন্তু সমস্ত বাধা বিঘ্নতা দুরে সরিয়ে কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক এবং বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরীকে সাথে নিয়ে বিটি কলেজ থেকে সুশাসন মিছিল করে শুক্রবার ক্যান্সার হাসপাতাল পৌঁছান বিধায়ক শ্রী বর্মন৷ পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী অটল বিহারি বাজপেয়ী মর্মর মূর্তি উন্মোচন করে দেখিয়ে দিলেন বিধায়কদ্বয়৷ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন জানিয়েছেন, যারা এই অনুষ্ঠানে বাধা দিয়েছিলেন তারও খুশি, আর যারা এ অনুষ্ঠান করতে চেয়েছেন তারাও অত্যন্ত খুশি৷
কারণ দেশে যথাযথ মর্যাদায় অটল বিহারী বাজপেয়ীর ৯৬ তম জন্মতিথি শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হচ্ছে৷ রাজনৈতিক নেতৃত্বরা অটল বিহারী বাজপেয়ীকে জীবিত থাকতে ভালবাসতেন৷ এখনো ভালোবাসেন৷ উনার দেখানোর দিশা থেকে দেশবাসীকে আরো বেশি শক্তি দেয়৷ তাই এই সুশাসন রেলির মাধ্যমে মর্মর মুর্তি উন্মোচন করা হয়েছে৷ আর তাঁরদেখানো রাস্তায় গড়ে উঠবে এক শক্তিশালী ভারতবর্ষ বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন শ্রী বর্মন৷ বিধায়ক শ্রী বর্মন অটল বিহারি বাজপেয়ী মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত শ্যামহরি শর্মার সহধর্মিণী, পুলক দেবনাথ, মানিক দাস প্রমুুখ৷