আগরতলা, ২২ ডিসেম্বর (হি.স.)৷৷ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের নিয়ে অনেক রাজনীতি করেছেন৷ এবার অন্তত তাঁদের মঙ্গল কামনা করুন৷ ১৩,০০০ অশিক্ষক পদে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত দাবির প্রেক্ষিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন৷ তাঁর সাফ কথা, সংবিধান প্রদত্ত অধিকার খর্ব করে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার লক্ষ্যে বামফ্রন্ট সরকার সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে ওই ১৩,০০০ অশিক্ষক পদ সৃষ্টি করেছিল৷ এর জন্য আদালতে তদানীন্তন সরকার তিরসৃকতও হয়েছিল৷
চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের প্রসঙ্গে এদিন সুদীপবাবু বলেন, আইনি পথে তাঁদের সহায়তার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই৷ তাই সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে ত্রিপুরা সরকারের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরা সরকার চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল৷ কিন্তু, অনৈতিকভাবে তাঁদের সহায়তার কোনও সুযোগ নেই৷ তাঁর আবেদন, সাম্প্রতিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন৷ কারোর প্ররোচনায় নিজেদের ভবিষ্যত নষ্ট হতে দেবেন না৷
এদিন তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের ভুল নীতির কারণেই তাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে৷ শুধু তা-ই নয়, হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের রায় অগ্রাহ্য করে গুয়ার্তুমির জন্যই আজ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে৷ তিনি বলেন, তখন আদালতের রায় মেনে কয়েকজন চাকরি প্রত্যাশীর চাকরি দিলেই এত ঝামেলা হতো না৷ তিনি বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারকে নিশানা করে বলেন, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের নিয়ে যথেষ্ট রাজনীতি করেছেন৷ রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে কোনও কাজই ফলপ্রসূ হবে না৷ বরং তাঁদের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে ত্রিপুরা সরকারকে সাহায্য করুন৷
তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য ১৩,০০০ পদ সৃষ্টি করে আরেকটি নোংরা রাজনীতির খেলা খেলেছিল বামফ্রন্ট সরকার৷ সংবিধান প্রদত্ত অধিকার খর্ব করে সৃষ্ট ওই পদ নিয়ে আদালতে চ্যাল হয়েছিল৷ সুপ্রিম কোর্ট তদানীন্তন সরকারকে তিরসৃকত করেছিল এবং বাধ্য হয়ে তখন ত্রিপুরা সরকার হলফনামা প্রত্যাহার করেছিল৷ সুদীপবাবু এদিন চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের উপর ভরসা রাখুন৷ সরকার নিশ্চয়ই আপনাদের মুখে হাসি ফুটাবে৷

