কাথমান্ডু, ২০ ডিসেম্বর (হি.স.): প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার সুপারিশ মেনে নেপালের জাতীয় সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। ঘোষণা করলেন পরবর্তী নির্বাচনের দিনও। দু’দফায় আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে । রাষ্ট্রপতির এই ঘোষণার পরই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা।
নেপালে মঙ্গলবার একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয় যেখানে বলে দেওয়া হয় যে সাংবিধানিক পরিষদের যেকোনো বৈঠক অধ্যক্ষ এবং বিরোধী দল নেতার অনুপস্থিতিতে হতে পারব। এই নিয়ে দুই তরফের তুমুল বিতর্ক বাঁধে। সাংবিধানিক পরিষদের এই অধ্যাদেশকে ভিত্তি করে বর্ষীয়ান নেতা পুষ্প কুমার দহলের সঙ্গে মতানৈক্য হয় কেপি শর্মা ওলির । এরপরই রবিবার সকালেই জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন কেপি শর্মা ওলির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সাত জন মন্ত্রী পদত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি’র কাছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। এরপরই তাতে সায় দিয়ে সংসদ ভেঙে আগামী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয় নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির অফিস থেকে। জানানো হয়, আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা ২০২১ সালে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে দু’দফায় ওই ভোটগ্রহণ হবে।
রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তের পরেই সমস্ত বিরোধী দলের পাশাপাশি প্রতিবাদ জানিয়েছে নেপালের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টিও। এপ্রসঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিষ্ণু রাইজাল বলেন, ‘সংসদীয় দলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটি ও সম্পাদক মণ্ডলীর ভিতরেও নিজের জায়গা হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এই ধরনের অবিবেচক কাজ করে দেশের মানুষের অর্থ অপচয়ের বন্দোবস্ত করেছেন। আসলে নেপালে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে নিজেকে সর্বশক্তিমান বানাতে চাইছেন।’