BRAKING NEWS

মমতা নিজের ঘর সামলান, মুসলিম ভোট ওনার সম্পত্তি নয় : ওয়েইসি

কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর (হি. স.) : জলপাইগুড়ির জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই নাম না করে ওয়েইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদ উল মুসলিমিন (মিম)-কে নিশানা করেছিলেন। তৃণমূলনেত্রী বলেন, বিজেপি মুসলিম ভোট ভাঙতে হায়দরাবাদ থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে একটি পার্টিকে ডেকে আনছে!

মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা তোপ দাগলেন মিম-এর পুরোধা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। এদিন টুইটে ওয়েইসির জবাব, আসাদুদ্দিন ওয়েইসিকে টাকা দিয়ে কেনার মতো কেউ এখনও জন্মায়নি। মুসলিম ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি বা জাগির নয়। ওনার অভিযোগ ভিত্তিহীন। উনি অস্থির হয়ে উঠেছেন। মমতা আগে নিজের ঘর সামলান, সেদিকে নজর দিন। ওনার দল ছেড়ে কতজন বিজেপিতে চলে যাচ্ছেন। বিহারের ভোটাদাতাদের, যাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাঁদের উনি অপমান করেছেন।

প্রসঙ্গত, ‘মিম’ বিহার বিধানসভা ভোটে ভাল ফল করেছে, মুসলিম অধ্যুষিত বিহারের সীমাঞ্চল এলাকায় ৫টি আসনে জিতে তাক লাগিয়ে দিয়ে ঘোষণা করে, ২০২১ এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেবে। এর পরে গোড়ায় মিমকে গুরত্ব দিতে নারাজ হয়নি তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, ‘‘মিম বিজেপির বি–টিম হয়ে কাজ করছে। বাংলায় কোনও সাম্প্রদায়িক দলের জায়গা নেই।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালও বলেন, ‘‘মিম কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না।’’

কিন্তু হায়দরাবাদের পুরভোটের ফলাফলের পর তৃণমূলের টিন্তা বেড়েছে। মমতা তার প্রেক্ষিতে গতকাল জলপাইগুড়ির সভায় বিজেপিকে আক্রমণ করে মুসলিম ভোট কাটতে কোটি কোটি টাকা ঢেলে হায়দরাবাদ থেকে একটি দলকে নিয়ে আসার অভিযোগ তোলেন। বলেন, বিজেপির প্ল্যান হল, ওরা হিন্দু ভোটে থাবা বসাবে, হায়দরাবাদের দলটা মুসলিম ভোট কাটবে। সাম্প্রতিক বিহার নির্বাচনেও ওরা একই কাজ করেছিল। ওরা বিজেপির বি-টিম।

 ওয়েইসি মমতার নিশানার মুখে ট্যুইট করেছেন, এখনও পর্যন্ত আপনি শুধুমাত্র আপনার অনুগত মীরজাফর, সাদিকদের নিয়ে চলেছেন। যে মুসলিমরা নিজেদের কথা ভাবেন, নিজেরা সরব হন, তাঁদের আপনি পছন্দ করেন না। বিহারে আমাদের ভোটারদের অপমান করেছেন আপনি। মনে রাখবেন, বিহারে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ‘ভোটকাটুয়াদের’ ঘাড়ে দোষ দিয়ে গিয়েছে যে দলগুলি, তাদের কী হাল হয়েছে। মুসলিম ভোট আপনার জাগির নয়!

২৯৪ আসনের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সামনের বছর এপ্রিল-মে মাসে। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য-রাজনীতি সরব মিমকে ঘিরে। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ জেলায় জেলায় তারা সংগঠন গুছোনোর কাজ শুরু করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *