রাওয়ালপিন্ডি, ৬ ডিসেম্বর(হি.স.): পাকিস্তানে মুসলিম যুবকের বিয়ের প্রস্তাব ফেরানোয় প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হল খ্রিস্টান যুবতীকে। রাওয়ালপিন্ডির এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবতীর নাম সোনিয়া। তিনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। শাহজাদ তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। পরিবারের কাছে সেই প্রস্তাবও পাঠানো হয়। কিন্তু সোনিয়ার পরিবার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। ফয়জন নামে এক যুবকের সঙ্গে সোনিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল বলে খবর। প্রস্তাব ফেরানোয় রাস্তাতেই সোনিয়াকে গুলি করে মারল শাহজাদ। ফয়জনের সঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন সোনিয়া। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় শাহজাদ।
শাহজাদের মা বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছেন, সোনিয়ার বাবা-মা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, সোনিয়ার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের ছেলে এমন ঘটনা ঘটবে, তা তাঁরা ভাবতেও পারেননি।
পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে নিপীড়নের মাত্রা কতটা ভয়াবহ তা প্রকাশ্যে এসেছে এক সমীক্ষায়। সেখানে বলা হয়েছে, দেশটিতে হওয়া মোট ধর্মান্তকরণের ঘটনার ৫২ শতাংশই ঘটেছে পাঞ্জাব প্রদেশে। জানা যায়, সংখ্যালঘু মহিলা, বিশেষ করে নাবালিকাদের ধর্মান্তরণের হার সবচেয়ে বেশি পাঞ্জাব প্রদেশে। মহিলা, বিশেষ করে নাবালিকারা সবচেয়ে বেশি ধর্মান্তরণের শিকার। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি লঙ্ঘন করে পাঞ্জাব প্রদেশে ধর্মান্তরণের ঘটনা আকছার ঘটে।