আগরতলা, ২৩ নভেম্বর (হি. স.)৷৷ ব্রু শরণার্থী পুনর্বাসনে আপত্তি-র জেরে কাঞ্চনপুরে অনির্দিষ্টকালের বনধ-কে ঘিরে আলোচনা ইতিবাচক হলেও কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি৷ আজ পাবিয়াছড়া কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক ভগবান দাস জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন৷ কিন্তু, দাবি পূরণে লিখিত প্রতিশ্রুতি না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের বনধ জারি রাখার সিদ্ধান্তে অনড় জেএমসি৷
এদিনের বৈঠক সম্পর্কে বিধায়ক ভগবান দাস দাবি করেন, জেএমসি-র সাথে বনধ নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে৷ তাই, বনধ প্রত্যাহৃত হবে বলে আমি আশাবাদী৷ তাঁর কথায়, দুই পক্ষের ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে৷ তিনি বলেন, কারোর কোন অসুবিধা না হয় সে-বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে৷
তবে, এদিনের বৈঠক নিস্ফলা ছিল বলে দাবি করেছে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি৷ কমিটি-র সদস্য তথা নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি রঞ্জিত কুমার নাথ বলেন, দাবি পূরণে লিখিত প্রতিশ্রুতি না দেওয়া হলে বনধ প্রত্যাহার করা হবে না৷ এদিনের বৈঠকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি৷ তাই, এখনই বনধ প্রত্যাহার করা হচ্ছে না৷
এদিকে, ত্রিপুরায় ছয়টি জেলায় বাস্তচ্যুত ব্রু অভিবাসী-দের পুনর্বাসন দেওয়া হবে৷ তাঁদের পুনর্বাসন নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে দাবি করে রাজস্ব দফতরের সচিব এই স্পষ্টীকরন দিয়েছেন৷ তাতে তিনি গুজবে কান না দেওয়ার জন্য ত্রিপুরাবাসী-র প্রতি আবেদন জানিয়েছেন৷
তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত ব্রু অভিবাসী-দের শুধুমাত্র ত্রিপুরার একটি অঞ্চলে পুনর্বাসন দেওয়া হবে, সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নজরে এসেছে৷ তাই তিনি সাফ জানান, ভারত সরকারের সাথে ত্রিপুরা সরকার ও অন্যান্যদের চুক্তি অনুযায়ী বাস্তচ্যুত ব্রু অভিবাসী-দের রাজ্যে ছয়টি জেলায় বিভিন্ন স্থান পুনর্বাসনে চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ তিনি আরো জানান, বাস্তচ্যুত ব্রু অভিবাসী-দের শুধুমাত্র একটি জেলা কিংবা একটি মহকুমায় পুনর্বাসনের খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং মিথ্যা৷ তাই, এধরণের খবর ছড়াতে এবং বিশ্বাস করা থেকে ত্রিপুরাবাসী-কে দূরে থাকার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, কাঞ্চনপুর মহকুমায় অধিকাংশ বাস্তচ্যুত ব্রু অভিবাসী-দের পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি আটদিন ধরে বনধ পালন করছে৷ শুধু তাই নয়, ওই ইস্যুতে জাতীয় সড়ক অবরোধে সংঘর্ষে দুই জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ তাতে, পরিস্থিতি অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু, কাঞ্চনপুর এবং পানিসাগর মহকুমায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা হয়েছে বলে ত্রিপুরা পুলিশের আইজি আইন-শৃঙ্খলা জানিয়েছেন৷