একল গৌ গ্রাম যোজনা : গোপাষ্টমীতে দেশব্যাপী সূচনা করবে আরএসএস

মথুরা, ২১ নভেম্বর (হি.স.): ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার, গোবর্ধন শহরের সৌনখ রোডে অবস্থিত শ্যাম গৌশালায় রবিবার, ২২ নভেম্বর শ্রীগোপাষ্টমীর পুণ্যলগ্নে একল গৌ গ্রাম যোজনার শুভ সূচনা করবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। পিঠাধীশ্বর রাজেন্দ্রদাস মহারাজ এবং সাধ্বী ঋতম্ভরা অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন। এই প্রকল্পের অধীনে দেশের বিভিন্ন গোশালা থেকে ৮ লক্ষ দুধহীন গরু দান নিয়ে বনবাসী বহুল ঝাড়খণ্ডের ৮ হাজার গ্রামের ৮ লক্ষ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিটি গ্রামে গোমূত্র ও গোবর থেকে সামগ্রী কীভাবে তৈরি করা যায়, তা শেখানো হবে, যাতে গ্রামবাসী এবং গো পালকরা আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পারেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৬১টি গরুর পুজো করা হবে।


শনিবার একল অভিযানের প্রতিষ্ঠাতা শ্যাম গুপ্তা জানিয়েছেন, গোপাষ্টমীর দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথমবার গুরু চারণ শুরু করেছিলেন, এজন্য এই দিনটিকে গোপাষ্টমী বলা হয়। রবিবার গোপাষ্টমীর পুণ্যলগ্নে একল গৌ গ্রাম যোজনার শুভারম্ভ করা হবে। শ্যাম গৌশালায় এই প্রকল্পের শুভারম্ভ করবেন পিঠাধীশ্বর রাজেন্দ্রদাস মহারাজ এবং সাধ্বী ঋতম্ভরা। গরুকে সুরক্ষিত, সংরক্ষণ  গোপাষ্টমীতে সন্তদের সান্নিধ্যে এই যোজনার শুভারম্ভ করা হবে।

তিনি আরও বলেছেন, গৌ গ্রাম যোজনার প্রথম দফা শুরু হবে এপ্রিল থেকে। তার আগে ঝাড়খণ্ডের ৮ হাজার গ্রামে একল বিদ্যালয় গো পালকদের গোমূত্র ও গোবর থেকে সামগ্রী কীভাবে তৈরি করতে হয় তা শেখাবে। গোমূত্র থেকে ফিনাইল, জমির কীটনাশক-সহ অনেক কিছু তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। উৎপাদিত সামগ্রী সমগ্র দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের ফলে ঝাড়খণ্ডের হাজার-হাজার গোশালার ১৫০০ কোটি টাকা খরচ বেঁচে যাবে।