আগরতলা, ১১ নভেম্বর (হি.স.)৷৷ সংক্রমণের প্রবণতা অনুযায়ী ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময়ের প্রয়োজন ২৪০ দিন৷ সে মোতাবেক উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মণিপুর, মিজোরাম এবং মেঘালয়ের তুলনায় যথেষ্ট ভালো অবস্থানে রয়েছে ত্রিপুরা, ভার্চুয়াল বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের পাশে থেকে অনুমান করে এমনটাই দাবি করেছেন এনসিডিসি-র অধিকর্তা ডঃ সুজিত কুমার সিং৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর দাবি, ১০টি ভারতের রাজ্যে মোট আক্রান্তের ৬০ শতাংশ সক্রিয় করোনা সংক্রমিত রয়েছেন৷
আজ বুধবার ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়, মণিপুর, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরাখণ্ডের সাথে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে আলোচনা করেছেন৷ এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে মহারাষ্ট্র, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, হরিয়ানা, অসম, পঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশে দেশের মোট আক্রান্তের ৬০ শতাংশ সক্রিয় করোনা সংক্রমিত রয়েছেন৷ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে মহারাষ্ট্রে ১,০৭,৩৫৮ জন শতাংশের হিসাবে ২০.৬২, কেরালায় ৮৪,২০৩ জন শতাংশের হিসাবে ১৬.১৭, পশ্চিমবঙ্গে ৩৫,৯৫৩ জন শতাংশের হিসাবে ৬.৯০, অন্ধ্রপ্রদেশে ২১,৮৭৮ জন শতাংশের হিসাবে ৪.২০, তেলেঙ্গানায় ১৯,২৭২ জন শতাংশের হিসাবে ৩.৭০, রাজস্থানে ১৬,৩০১ জন শতাংশের হিসাবে ৩.১৩, হরিয়ানায় ১৪,৬৪৪ জন শতাংশের হিসাবে ২.৮১, অসমে ৭,৬৬২ জন শতাংশের হিসাবে ১.৪৭, পঞ্জাবে ৪,৬২১ জন শতাংশের হিসাবে ০.৮৯ এবং হিমাচল প্রদেশে ৩,৬৬৮ জন শতাংশের হিসাবে ০.৭০ সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন৷
এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে এনসিডিসি-র অধিকর্তা ড় সুজিত কুমার সিং জানিয়েছেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্তের প্রবণতা দেখে মনে হচ্ছে, দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে প্রয়োজন ১২৫ দিন৷ সে মোতাবেক তিনি আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত সাতটি রাজ্যের স্থিতি তুলে ধরেছেন৷ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৩১,৬২২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ প্রবণতা অনুযায়ী ওই সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার জন্য ২৪০ দিনের প্রয়োজন৷ এছাড়া, মহারাষ্ট্রের ২২৯ দিন, গোয়ার ১৭২ দিন, উত্তরাখণ্ডের ১১৯ দিন, মেঘালয়ের ৮৭ দিন, মণিপুরের ৬৮ দিন এবং মিজোরামের ৪০ দিন সময় লাগবে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মণিপুর, মেঘালয় এবং মিজোরামের তুলনায় ত্রিপুরা কিছুটা ভালো অবস্থায় রয়েছে৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি নির্ভর করে দিনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷ কিন্তু এতে এখনই অসতর্ক হলে চলবে না৷ করোনা-র স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে৷

