বিহার নিয়ে একযোগে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব রাহুল

পাটনা, ২৮ অক্টোবর (হি. স.): বিহারে বাল্মীকি নগর জনসভা থেকে নজিরবিহীনভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধী। এবারের দশেরায় রাবণের বাদলে প্রধানমন্ত্রী ও আদানি এবং আম্বানিদের কুশপুতুল পোড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাহুল।  

এদিনের নির্বাচনী জনসভার থেকে রাহুল গান্ধী আরও জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে নীতীশ কুমার বিহারের সঙ্গে যা করেছিল তা পঞ্জাব এবং হরিয়ানার সহ গোটা দেশের সঙ্গে করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেশের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের কোন উল্লেখ নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিহারকে ধ্বংস করে ছেড়েছে। এর ফলে কৃষকরা আর্থিক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। কেন্দ্রের নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন যে এই তিনটি আইন দেশ এবং বিহারের কৃষকদের ওপর আক্রমণ হানা হয়েছে। এই আক্রমণ শস্য ক্ষেতের উপর করা। ২০০৬ সালে বিহারে যেভাবে মান্ডি এবং এমএসপি ব্যবস্থা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। ঠিক একই প্রচেষ্টা বর্তমানে করা হচ্ছে। বিহারের কৃষকরা পরিশ্রম করা সত্বেও ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। 

শহর-গ্রামের উপর নির্ভরশীল। গ্রাম কৃষকদের ওপর। আর কৃষকরা ক্ষেত এর উপর নির্ভরশীল। কৃষক এবং ক্ষেত ছাড়া সমাজ চলতে পারে না। রাজ্যের তরুণ প্রজন্ম কর্মসংস্থানের জন্য রাজ্য ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বিহারের সক্ষমতাকে বুঝতে হবে। মহাত্মা গান্ধী যখন ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমে ছিলেন তখন তিনি এই রাজ্যের চম্পারন থেকেই তা শুরু করেছিলেন। কারণ তিনি বুঝেছিলেন ইংরেজ মুক্ত করতে গেলে এই বিহার থেকেই কাজ শুরু করতে হবে।