আগরতলা / গুয়াহাটি, ২২ অক্টোবর (হি. স.)৷৷ ষষ্ঠীতেই বৃষ্টিপাতের দরুন নাকাল হয়েছে অসম সহ ত্রিপুরার জনজীবন৷ মায়ের বোধনের আগেই বৃষ্টি পূজার আনন্দে ভাঁটা পড়ার সম্ভাবনাকে উস্কে দিয়েছে৷ অবশ্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী সপ্তমী এবং অষ্টমীতেও বৃষ্টি হবে৷ তবে ত্রিপুরায় দুগর্োৎসবে ভারী বৃষ্টিপাত হলে আনন্দে ভাটা পড়বে ঠিকই৷ কিন্তু করোনা-প্রকোপ থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে৷ কারণ বৃষ্টিপাতের দরুন পূজা মণ্ডপে ভিড় হওয়ার অবকাশ নেই৷
করোনা-প্রকোপের মাঝে দুগর্োৎসবের আনন্দোল্লাসে বাধা হয়ে দাঁড়াবে প্রকৃতিও৷ মুখ ভার থাকবে আকাশের৷ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী ষষ্ঠী থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে৷ আজ দিনভর বৃষ্টিতে ত্রিপুরার রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় গত কয়েকদিনের তুলনায় কম ছিল৷ বাজারেও তেমন লোকের ভিড় ছিল না৷
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের মধ্যাংশ এবং আশপাশে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে ত্রিপুরায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ তার প্রভাবে ২২ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর অসম, ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে৷ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২২ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ত্রিপুরার অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি এবং দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে, ২৫ এবং ২৬ অক্টোবর বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হওয়ার সম্ভাবনা৷
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ রাতে এবং আগামীকাল ভোর পর্যন্ত ত্রিপুরায় অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ এ-বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ তবে, আগামীকাল সন্ধ্যায় বৃষ্টিপাত কম হতে পারে৷ আবহাওয়া দফতরের জনৈক আধিকারিকের কথায়, আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাত হবে৷ স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে, দুগর্োৎসবের আনন্দে ছন্দপতন ঘটাবে বৃষ্টিপাত৷ এমনিতেই করোনা মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করে রেখেছে৷ ফলে করোনা ও প্রকৃতির দ্বিফলায় উৎসবের আনন্দে ভাঁটা পড়বে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই৷
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বৃষ্টি হয়নি৷ বৃষ্টি থামতেই রাজপথে বাইক ও গাড়ির দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ এদিকে, প্রতিটি প্যান্ডেলেই ছিল করোনার সচেতনতামূলক নানা প্রচার৷ তাছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নজরদারী ছিল রাজধানীতে৷