কঠোর অবস্থান ত্রিপুরার, চাপের মুখে পিছু হটল মিজোরাম সরকার, মামিত জেলা প্রশাসনের ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

আগরতলা, ১৮ অক্টোবর (হি.স.)৷৷ ফুলডুঙশেই জম্পুই এলাকায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করল মিজোরাম সরকার৷ ত্রিপুরা সরকারের কড়া চিঠিতে চাপের মুখে মিজোরাম সরকার ওই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
শুক্রবার ফুলডুঙশেই জম্পুই এলাকায় মিজোরামের মামিত জেলা প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি করার জবাবে গতকাল কড়া ভাষায় মিজোরাম সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার৷


প্রসঙ্গত, বিতর্কিত সীমান্তে মন্দির নির্মাণকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করে মিজোরামের মামিত জেলায় ফুলডুঙশেই জম্পুই এবং জামুয়ান্টল্যাং এলাকায় গতকাল ১৪৪ ধারা জারি করেছিল জেলা প্রশাসন৷ আগামী ১৯ এবং ২০ অক্টোবর ত্রিপুরার সংরাঙ্গমা নামের এক সংস্থা থাইদাওর তাঙে একটি শিব মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে৷ তাই ১৬ অক্টোবর থেকেই মামিত জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে দিয়েছিল৷
মামিত জেলা প্রশাসনের ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ ত্রিপুরা সরকারের অতিরিক্ত সচিব একে ভট্টাচার্য শনিবার মিজোরাম সরকারের গৃহ দফতরের ওএসডি তথা উপসচিব ডেভিড এইচ লালথাংলিয়ানাকে মামিত জেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা অত্যন্ত আপত্তিজনক বলে দাবি করে চিঠি পাঠিয়েছেন৷


চিঠিতে সাফ জানানো হয়েছিল, ফুলডুঙশেই জম্পুই উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমার জম্পুই হিলস আরডি ব্লকের সাবুয়াল ভিলেজ কমিটির অধীনে রয়েছে৷ ত্রিপুরা সরকার বহুকাল আগে পর্যটন দফতরের অধীনে বেটলিংচিপে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করেছিল সেখানে৷ ফলে ওই এলাকায় মামিত জেলা প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি অত্যন্ত আপত্তিজনক৷ তাই আদেশ সংশোধন করে মামিত জেলা প্রশাসন ত্রিপুরার সীমানায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করুক, আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি৷ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই পদক্ষেপ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ত্রিপুরা সরকার৷
রবিবার মামিত জেলা প্রশাসন ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে৷ কারণ হিসেবে সংরাঙ্গমা মন্দির নির্মাণে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বলে দাবি করেছেন মামিতের জেলাশাসক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *