নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ অক্টোবর৷৷ স্বনির্ভর মানসিকতাই দেশ ও একটি রাজ্যকে আত্মনির্ভর করে তুলতে পারে৷ ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের জনগণকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে৷ আজ শনিবার আগরতলায় নেতাজি সুভাষ বিদ্যানিকেতনে আয়োজিত মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যোজনা মেগা ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে এ-কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি বলেন, স্বনির্ভরতাই কোনও জাতি, কোনও রাজ্য বা দেশকে আত্মনির্ভর করে গড়ে তুলতে পারে৷ এই যোজনা জনসাধারণকে আর্থিক দিক থেকে আত্মনির্ভর করার পাশাপাশি নানা দিকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্বতন সরকার ত্রিপুরাকে স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে কোনও প্রকার সচেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি৷ বর্তমান রাজ্য সরকার ত্রিপুরাকে স্বনির্ভর করার জন্য বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সরলীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে৷ সমগ্র রাজ্যে ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড প্রদান করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, পূর্বে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হতো৷ বর্তমানে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং ব্যবসায়ী, সকলের কথা ভেবে এই প্রক্রিয়াকে সরলীকরণ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি যাদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে এমন ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলিকেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে৷ ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিমার আওতায় আনতে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন৷
এদিন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথেই এগিয়ে চলেছে ত্রিপুরা৷ সাব্রুমের ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, লজিস্টিক হাব স্থাপন ইত্যাদিকে ভিত্তি করে আগামীদিনে বহু লোকের রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ চিটাগাং বন্দরের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির যোগাযোগ গড়ে উঠবে৷ এর ফলে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে৷ ভবিষ্যতে ত্রিপুরা সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্নদাতা হয়ে উঠবে৷ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে অষ্টলক্ষ্মী রূপে গড়ে তোলার স্বপ্ণ যথাযথ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করবে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন৷
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের মানুষকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার৷ ৫০ হাজার বর্গা চাষিকে ভরতুকিতে ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নতুন করে ৩০ হাজার জনকে সামাজিক সুরক্ষা ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা সব-কা সাথ স-বকা বিকাশের প্রতিফলন বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন৷ করোনা আবহের মধ্যেও ত্রিপুরাকে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে সরকার৷ সাবমেরিন ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট স্থাপনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷

